আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তার পরই শুরু হচ্ছে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2022)। তাই পুজোর শপিংয়ে (Durga Puja Shopping) এখন শেষ বেলার ব্যস্ততা। গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, হাতিবাগান, বড়বাজার, শ্যামবাজার— সর্বত্র ক্রেতাদের ভিড় একেবারে উপচে পড়ছে।
কখনও বৃষ্টি, কখনও চাদিফাটা গরমে গলদঘর্ম হয়েই চলছে বিকিকিনি। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ— সর্বত্রই পুজোর শপিংয়ের (Durga Puja Shopping) চেনা ছবি ফিরেছে৷ ফলে হাসি ফুটেছে ব্যবসায়িদের মুখে৷
ফুটপাথের অস্থায়ী দোকান থেকে ঝাঁ চকচকে শোরুম, শপিং মল, প্রায় সব জায়গাতেই দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না ব্যবসায়িরা৷ কিন্তু তাতেও এতটুকু বিরক্ত নন দোকানের মালিক থেকে কর্মীরা৷ বরং লক্ষ্মী-লাভে তাঁরা খুশি৷
করোনার ঠেলা সামলে প্রায় ৩ বছর পর ক্রেতাদের ভিড়ের মুখ দেখেছেন শহরের পাঁচ বড় বাজার এলাকার ব্যবসায়িরা। প্রায় সর্বত্র জমজমাট পুজোর শপিং! বেল্ট, বাহারি জুতো, ব্যাগ, কুর্তি, টি-শার্ট, জিন্সের প্যান্ট, বাচ্চার জামা থেকে খেলনা, সবেরই চাহিদা এবার তুলনামূলক বেশি।
হাতিবাগানে জামা-কাপড়ের সঙ্গে সঙ্গে পুজোয় ঘর সাজানোর জন্য চাদর, পর্দা, ফুলদানি, কাপড়ের তৈরি বাহারি ফুলের বিক্রিও বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। তাছাড়া, পোশাকের সঙ্গে মানানসই গয়না আর মেকআপের নানা সামগ্রির দোকানে পা ফেলার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।
পুজোর শপিংয়ের ভিড় এবার চোখে পড়ার মতো ছিল এশিয়ার বৃহত্তম পাইকারি পোশাকের বাজার হাওড়ার মঙ্গলা হাটে। ২৫০-৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকার পোশাক— সবই বিক্রি হচ্ছে হুরমুড়িয়ে।
এমনিতেই সারা বছর সপ্তাহে তিন দিন এই হাটে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। পুজোর শপিংয়ের শেষ বেলায় ক্রেতাদের সংখ্যাটা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে খুসি এই হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেই।
নিউ মার্কেটের কেতা-দুরস্ত জুতো, পোশাকের সঙ্গে মানানসই ব্যাগ-পার্স-বেল্টের বিক্রি সবচেয়ে বেশি। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বিক্রেতাদের৷