কলকাতা আমাদের প্রিয় শহর। কলাকাতা বলতে যে আইকনগুলি আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে তার মধ্যে অবশ্যই রয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।
তিলোত্তমা কলকাতার অন্যতম আকর্ষণীয় ও ঐতিহ্যবাহী জায়গা হলো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। মহানগরের ইতিহাসের পাতায় বয়ে চলা নানান ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।
কলকাতার বিখ্যাত গড়ের মাঠের দক্ষিণ প্রান্তে ৬৪ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই স্মৃতিভবন। ১৯০১ সালে ৯৪ বছর বয়সে মহারানী ভিক্টোরিয়া মারা যাওয়ার পর তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে সাদা মার্বেল পাথরের এই ভবনটি নির্মিত হয়।
১৯০৬ সালে শুরু হয়েছিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল নির্মাণের কাজ। শেষ হয় ১৯২১ সালে। এবার শতবর্ষে কলকাতার গৌরব ভিক্টোরিয়া। শতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কতৃপক্ষ পর্যটকদের জন্য এক দারুণ উদ্যোগ নিয়েছে।
ভিক্টোরিয়া কেবল স্মৃতি সৌধ হিসেবেই নয়, একে কেন্দ্র করে বিশালাকার উদ্যানটিও প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে খুবই প্রিয়। এবার থেকে প্রায় ৫৭ একর বিস্তৃত বিশাল উদ্যানটিতে সপ্তাহে একটি দিন সাধারণ মানুষের জন্য আয়োজন করা হবে ‘নেচার ওয়াক’ বা বনভ্রমণ। মার্চ মাস থেকেই শুরু হয়েছে এই উদ্যোগ।
প্রতি সপ্তাহে সোমবার করে এক ঘণ্টার জন্য এই বনভ্রমণের আয়োজন করা হবে। এর ফলে, সেই উদ্যানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গাছ আরও কাছ থেকে জানার সুযোগ পাবেন ঘুরতে পর্যটকরা। একজন প্রকৃতি বিশেষজ্ঞ আপনাকে ঘুরে দেখাবেন গোটা উদ্যানটি।
প্রায় ১০০ বছর ধরে নানা রকম গাছ লাগানো হয়েছিল এই উদ্যানে। রয়েছে অনেক জানা-আজানা গাছ। সেগুলি আরও ভাল করে চিনে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে এবার।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের উদ্যানে প্রায় ৬৩ প্রজাতির ১১২৩টি দেশি-বিদেশি গাছ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফে প্রতি বছর প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি নতুন চারাগাছ রোপণ করা হয়। কোস্তারিকার জাতীয় বৃক্ষ থেকে শুরু করে আফ্রিকার শস্য গাছ— নানা চমক রয়েছে এই উদ্যানে।
ভিক্টোরিয়ার এই গাছগুলির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা গল্প, ইতিহাস। প্রত্যেক মাসে যে কোনও একটি প্রজাতির গাছ বেছে নিয়ে তা বিশেষ ভাবে তুলে ধরা হবে এই নেচারওয়াকে।