Advertisement
কলকাতা

General Strike: বন্‍‌ধে ভারত কি আদৌ 'বন্ধ' হল? বাংলা সহ দেশজুড়ে ধর্মঘটের সব ছবি রইল

  • 1/13

বুধবার সকাল থেকে কেরলের বিভিন্ন জায়গায় বনধের প্রভাব পড়েছে। স্কুল-কলেজ, দোকানপাট, অফিস বন্ধ ছিল সে রাজ্যে। খোলেনি ব্যাঙ্কও। বামশাসিত কেরলের রাস্তায় লোকজনের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। বাস, গাড়ি চলেনি।

  • 2/13

শ্রমিক সংগঠনের ডাকা বনধের প্রভাব পড়ে ব্যাঙ্ক পরিষেবায়। দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রয়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের দরজায় তালা ঝুলতে দেখা যায়। ফলে ভোগান্তির শিকার হন গ্রাহকেরা। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতেও একাধিক শাখায় শাটার নামিয়ে দেওয়া হয়।

  • 3/13

কলকাতাতে বনধের বিক্ষিপ্ত প্রভাব পড়লেও তেমন ভাবে সাড়া মেলেনি। তবে এদিন সকালে গাঙ্গুলিবাগান মোড়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাম সমর্থকেরা। SFI-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়েছিল এলাকায়। সেই মিছিল গাঙ্গুলিবাগান মোড়ে পৌঁছোনোর পরে উত্তেজনা শুরু হয়। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা রাস্তার মাঝে টায়ার জ্বালানোর চেষ্টা করেন। তবে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় দুর্পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি। সৃজনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। তাঁর হাতে চোট পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। তা সত্ত্বেও মিছিল করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। সৃজনের অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের পুলিশ BJP-র বিরুদ্ধে ডাকা বনধের বিরোধিতা করতে সক্রিয় হয়ে পড়ে।

Advertisement
  • 4/13

এদিকে, যাদবপুর, লেকটাউন, গাঙ্গুলিবাগানে বনধের বিক্ষিপ্ত প্রভাব পড়ে। যাদবপুরের রাস্তায় ধর্মঘটীরা আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। মিছিল বের হয় গাঙ্গুলিবাগানে। লেকটাউনে পথ অবরোধের চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের হটাতে পুলিশ রাস্তায় নেমেছে।

  • 5/13

বেলঘরিয়া, দুর্গাপুর রেলস্টেশনে ট্রেন আটকানোর চেষ্টা করেন বনধ সমর্থকেরা। বুধবার সকালে সাময়িক ভাবে ব্যাহত হয় শিয়ালদহ মেন শাখার ট্রেন চলাচল। শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখায় যাদবপুর স্টেশনেও ধর্মঘটীরা ট্রেন আটকানোর চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়।

  • 6/13

ডোমজুড়ে বনধ সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় বচসায় জড়ায় পুলিশ। লরি, বাস আটকাতে গেলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। মুর্শিদাবাদের লালগোলায় ট্রেন অবরোধ করেন বনধ সমর্থকেরা।

  • 7/13

হুগলি স্টেশনেও রেল অবরোধ হয়। হাওড়াগামী ডাউন ব্যান্ডেল লোকাল ট্রেন আটকে দেন ধর্মঘট সমর্থকেরা। ঝান্ডা হাতে রেল লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন তাঁরা। কিছুক্ষণ ওই লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ এসে অবরোধ সরিয়ে দেয়। হুগলির জুটমিলগুলির ছবি অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন ছিল। ভদ্রেশ্বরের শ্যামনগর নর্থ জুটমিল গেটে শ্রমিকেরা সকাল থেকে পিকেটিং শুরু করেন। বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস জুটমিলে ধর্মঘটে যোগ দেন শ্রমিকেরা। জেলার অন্য জুটমিলগুলিতে হাজিরা কম ছিল শ্রমিকদের।

Advertisement
  • 8/13

পথে নেমেছিল রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস। তবে সুরক্ষার্থে হেলমেট পড়ে বাস চালাতে দেখা যায় চালকদের। যাদবপুর হোক কিংবা কোচবিহার, চিত্রটা ছিল একরকম। বনধের সমর্থনে মিছিল বার হয় সকালেই। তবে পাল্টা বনধবিরোধী মিছিলও চোখে পড়ল। পুলিশ প্রশাসনের তাৎপরতায় পরে দূরপাল্লার বাসগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ও র‍্যাফ মোতায়েন করা হয়।

  • 9/13

স্বাভাবিক ছন্দেই তিলোত্তমা। তবে টানা বৃষ্টির জেরে আর পাঁচদিনের তুলনায় রাস্তায় লোকজন খানিকটা কম। দু-এক জায়গায় সামান্য অশান্তি হলেও ট্রেন, বাস, অটো সব চলেছে অন্যান্যদিনের মতোই। কলকাতার এক বাসিন্দার কথায়, 'টানা বৃষ্টিতে একাধিক এলাকা জলমগ্ন। ফলে অটো একটু কম চলছে। তবে বাস বা অন্য কোনও গাড়ি পেতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। অন্যান্যদিনের মতোই সব পেয়েছি। কোনও সমস্যা হয়নি।'

  • 10/13

বনধের সমর্থনে রাস্তা অবরোধকারী CPIM নেতাকে সপাটে চড় মারেন এক পুলিশ অফিসার। বুধবার সকালে এই ঘটনায় হইচই পড়ে যায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারীতে। শুধু চড় মারাই নয়, মাজেদার রহমান নামে ওই CPIM নেতাকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এই নিয়ে সরব হয় বামেরা। বংশীহারী থানার IC অসীম গোপের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানানো হবে বলে জেলা CPIM নেতৃত্ব জানিয়েছে। এভাবে বনধ সমর্থনকারীকে চড় মারা নিয়ে পুলিশ মুখে কুলুপ এঁটেছে।

  • 11/13

আসানসোলে বনধ ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয় একটি ঘটনায়। রাস্তায় বনধের সমর্থনে নামা বাম কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস। দফায় দফায় সঘংর্ষের পরিস্থিতির মধ্যে চাকার নিচে শুয়ে আহত হন এক বাম সমর্থক। আহত হন CPIM-এর রাজ্য কমিটির নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায়ও। আসানসোল সিটি বাসস্ট্যান্ডের সামনে ধর্মঘটীরা গাড়ি আটকাতে চেষ্টা করেন। সেইসময় রাস্তায় ছুটে আসা ট্রাক্টর ব্রেক কষতে পারেনি। ধাক্কা লেগে পড়ে যান এক ধর্মঘটী। তার পায়ের পাতার চোট লাগে। আহতকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Advertisement
  • 12/13

বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। সেই আবহেই বুধবার ছিল সাধারণ ধর্মঘট। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘাত চলছে। এরই মধ্যে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের নেতাদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, এর ফলে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের প্রচারের আসল বিষয় থেকে নজর সরে যেতে পারে। বুধবার শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ‘ভারত বনধ’-এর সঙ্গে বিহারে জুড়ে গেল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও। পটনায় মিছিলে এক সঙ্গে পা মেলালেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা।

  • 13/13

দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে, শ্রম আইনের বিরুদ্ধে ও নির্বাচন কমিশনের বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের ইস্যুতে পটনায় চাক্কা বনধে CPIM-এর সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, RJD নেতা তেজস্বী যাদব, CPI সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, CPI(ML) এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য সহ RJD-বাম ও কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিল।

Advertisement