কাল থেকে বন্ধ গণপরিবহণ। লোকাল ট্রেন, মেট্রো, বাস পরিষেবা বন্ধ থাকবে। প্রাইভেট গাড়ি, অটো বন্ধ থাকবে।
পেশার সূত্রে দূর-দূরান্ত থেকে রোজ কলকাতায় আসেন অনেক মানুষ। অনেকে থেকেও যান। তবে পরিবহণ বন্ধ থাকবে বলে তাঁরা যে যাঁর নিজের ঘরে ফিরে যাচ্ছেন।
সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে চালু থাকবে আপৎকালীন পরিষেবা দেয়, এমন সরকারি এবং বেসরকারি অফিস। স্পা, জিম, সুইমিং পুল বন্ধ থাকবে। রেঁস্তোরাও বন্ধ থাকবে। মিষ্টির দোকান সাকল দশটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। বয়স্ক, রুগ্ন লোকের স্বাস্থ্যগত যোগাযোগ রয়েছে। ওষুধ, চশমার দোকান খোলা থাকবে। উদ্যান, চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকবে। সংস্কারের কাজ কার যাবে। সিদ্ধান্ত সরকারের।
কলকাতা পুলিশ এলাকায় এলাকায় কড়া লকডাউনের ব্য়াপারে ঘোষণা করে। কখন দোকান, কী দোকান খোলা থাকবে, তা মাইকে প্রচার করে।
ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। পণ্য পরিবহণ বন্ধ থাকবে। সব শিল্প, কলকারাখানা, উৎপাদন বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্য সংক্রান্তকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। খাবার সঙ্গে যুক্তকেও ছাড় দেওয়া হয়েছে।
চা-বাগানে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। জুট মিলে ৩০ শতাংশ শ্রমিককে নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। ই-বাণিজ্য, হোম ডেলিভারি চালু।
ব্যাঙ্ক ১০টা থেকে ২টো। এটিএম চলবে। অফিসার-কর্মীরা বার বার আবেদন জানিয়েছে। শেষযাত্রায় ২০-র বেশি লোক নয়। রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত বাইরে বেরনো বন্ধ।
বাংলায় জুন মাসে কোনও পরীক্ষা হবে না। মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে না। এমনই সিদ্দান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। শনিবার নবান্নে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রাজ্য়ের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পরীক্ষার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হবে। পড়ুয়া, অভিভাবকদের না-ঘাবড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পরে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হবে। সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন। এদিন তিনি জানান, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। সরকার সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছে। রাজ্য সরকার যেটা বলতে চেয়েছে সেটা হল,জুন মাসে কোনও পরীক্ষ হবে ন। তিনি জানান, জুনের প্রথমার্ধে মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনসূচি স্থির ছিল। জুন মাসের দ্বিতীয়ার্ধে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনসূচি ঠিক ছিল। আলাপন বলেন, তবে আজ যে ঘোষণা হল তার ফলে কিছু কিছু কাজকর্ম থেকে আমরা বিরত থাকব বলে স্থির হল। তার ফলে জুন মাসে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। শিক্ষা দফতর কথা বলে পরে সময় জানিয়ে দেবে। ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকদের ঘাবড়ানোর দরকার নেই। তাঁরা যথেষ্ট সময় পাবেন।