রাজ্যে নয়া বিধি ঘোষণা হতেই জলপাইগুড়িতে শহরে মদের দোকানে দীর্ঘ লাইন। ক্যামেরা দেখতেই অনেকে মুখ ঢাকছেন ব্যাগ দিয়ে। কারও আবার নেই মাস্ক। ক্যামেরার সামনে তড়িঘড়ি রুমাল বা শার্টে দিয়েই নাক মুখ ঢাকছেন। ছবি ও তথ্য: ভাস্কর রায়, রাজেন প্রধান এবং রাজেশ সাহা
মদের দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিরা জানালেন আংশিক লকডাউন ঘোষণা হচ্ছে। মদ নাও পাওয়া যেতে পারে সেজন্যই আগেভাগে মদ কিনে স্টকে রেখে দেব।
করোনাবিধি থোড়াই কেয়ার! কড়া বিধি ঘোষণা হতেই মদের দোকানে বিরাট লাইন। লাঠি হাতে নামতে হল পুলিশকে। ভ্যাকসিনের জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে বিরাট লাইন পড়াতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন শহরবাসী।
অভিযোগের আঙুল উঠেছিল প্রশাসনিক ব্যর্থতা থেকে হাসপাতালের অব্যবস্থার দিকে। অথচ রবিবার থেকে রাজ্য জুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়া মাত্রই এদিন দুপুর থেকেই কলকাতা শহর জুড়ে লাইন পড়ে গেল শুধুমাত্র মদ কেনার জন্য।
করোনার তোয়াক্কা না করে কোথাও মানা হলো না শারীরিক দূরত্ব। লাইনে দাড়ানোর বহু মানুষের মুখেই নেই মাস্ক, হাতে গ্লাভস। মদের দোকান থেকে লাইন ছাড়িয়ে যাচ্ছে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মিটার দূর পর্যন্ত।
মুহুর্তের মধ্যে গোটা এলাকায় শুরু হয়ে গেল জটলা। স্বাভাবিকভাবেই বিকেলের ব্যস্ততম রাস্তায় তৈরি হলো ট্রাফিক জ্যাম। যার ফলে আটকে পড়তে দেখা গেল একের পর এক অ্যাম্বুলেন্সকেও। অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি হাতে পথে নামতে হলো পুলিশ প্রশাসনকে।
শহরের একাধিক মদের দোকানে মোতায়েন করতে হলো লাঠিধারী পুলিশ কর্মীদের। তবুও বাগে আনা গেল না মদ্যপ্রেমী জনতাকে। শেষ পর্যন্ত সোশ্যাল ডিসটেন্স তৈরি করতে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যেতে দেখা গেল পুলিশকে।
এদিন টালিগঞ্জ ইন্দ্রপুরী স্টুডিও পাশে একটি মদের দোকানের সামনে জটলার কারণে সাময়িক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রুদ্র মূর্তি ধারণ করতে হয় গলফ গ্রিন থানার পুলিশকে।
টালিগঞ্জের রানিকুঠিতেও মুখোমুখি দুটি মদের দোকানে তৈরি হয় বিশাল জমায়েত। যানজট এড়াতে রাস্তায় নামাতে হয় বাড়তি সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ কর্মীদের।
রবিবার থেকেই রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ সমস্ত কিছু। রবিবার থেকে ১৫ দিন খুলবে না কোন মদের দোকানও। খবর পৌঁছতেই সুরাপ্রেমীদের মধ্যে তৎপরতা। মালদার বিভিন্ন মদের দোকানের সামনে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন।