
বাংলাদেশে ভুলে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। আর ভারত সাড়ম্বরে পালন করছে সেই বিজয় দিবস। সোমবার মহড়ার পর মঙ্গলবার বিজয় দুর্গের এলাকায় (ফোর্ট উইলিয়ম) আয়োজন করা হল গ্র্যান্ড মিলিটারি ট্যাটুর। সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ রয়েছে অবাধ।

সকাল থেকে দলে দলে উৎসুক জনতা ভিড় করেছেন ময়দানে। দেশের নাগরিকদের বিজয় দিবসে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ রাখতে সেই যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র, হেলিকপ্টার দেখাচ্ছে ভারতীয় সেনা।

এদিন সকাল থেকে ঘোড়ায় চড়ে বিশেষ প্রদর্শনীর উপস্থাপনা করেন সওয়ারি বাহিনী। ঘোড়ার চড়ে নানা কলা কৌশল প্রদর্শন করেন তাঁরা।

বিশেষ রোবট কুকুর নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কাতারে কাতারে মানুষ গ্যালারি থেকে এই দৃশ্য উপভোগ করেছেন। রোবট কুকুর যে কতটা দক্ষ, তা এদিন তুলে ধরেছে সেনা। পাশাপাশি বর্ণাঢ্য নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

৮টি হেলিকপ্টার দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনাতে একটি বিশেষ প্রদর্শনীরও দেখানো হয় এদিন। বিজয় দিবসের ব্যানার-সহ উড়তে থাকা হেলিকপ্টারগুলি যেন সাক্ষী দিচ্ছিল ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বরের জয়ের ইতিহাসের। এছাড়াও অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানি সেনার ড্রোনও বাজেয়াপ্ত করেছিল ভারত। সেই ড্রোনও এদিন প্রদর্শনীতে আনা হয়।

পূর্ব পাকিস্তানি সেনাকে যে যে অস্ত্র দিয়ে ভারত বশ মানিয়েছিল। সেই অস্ত্রগুলি এদিন নিজের হাতে তুলে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন কলকাতার মানুষ। এরজন্য কিন্তু কোনও প্রবেশমূল্য দিতে হচ্ছে না।

এবার বিজয় দিবস পালন হচ্ছে অপারেশন সিঁদুর থিমের মাধ্যমে। ভারতীয় সেনার বীর বিক্রমের সাক্ষ্য দিচ্ছে নানা পোস্টার।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের ৯৩ হাজার সেনা ভারতের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত এত সেনা কোনও দেশের সামনে আত্মসমর্পণ করেনি। ভারতীয় সেনার বিক্রমে সেদিন থরহরি কম্পমান ছিল পূর্ব পাকিস্তানের সেনা।

গতকাল ময়দানেই ছিল এই অনুষ্ঠানের মহড়া। বিজয় দিবস উদযাপনের অন্যতম কেন্দ্র এবার কলকাতা হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শহরে এসেছেন। এই দলে রয়েছেন ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি সেনা আধিকারিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।