Weather Update: নিম্নচাপ ১২ ঘণ্টা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এটি ২৬ সেপ্টেম্বর মানে রবিবার বিশাখাপত্তনম ও গোপালপুরের মধ্যে প্রবেশ করবে। এখন এই নিম্নচাপ রয়েছে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গপসাগরে। এর ফলে আমাদের রাজ্যে খুব বেশি বৃষ্টি হবে না। শনিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর এমনই পূর্বভাস দিয়েছে।
এর জেরে বাংলায় কী প্রভাব পড়তে পারে, তা জানিয়েছেন তাঁরা। ২৬ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তারপর ২৮ তারিখ একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে সমুদ্রে। ২৯ সেপ্টেম্বর রাজ্যে প্রবেশ করবে। আর এর প্রভাবে রাজ্য়ের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
২৬ তারিখ শুধু পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসঙ্গে ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিবেগে প্রতি ঘণ্টায় হওয়া বইবে।
এর পর ২৮ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের সব জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়ার গতিবেগও বাড়বে। তখন তা হবে ৭০-৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং কলকাতায় ৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়া বইবে ২৭ এবং ২৮ সেপ্টেম্বরে।
অন্যদিকে, ২৮ এবং ২৯ তারিখে তারিখে দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিমের জেলাতে ভারি বৃষ্টি হবে।
কলকাতায় ভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে ২৮ তারিখে। ২৯ তারিখ পর্যন্ত চলতে পারে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে।
গত কয়েকদিনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বেশ বৃষ্টি হয়েছে। আর এর জেরে সমস্যাও কম হয়নি। অনেক জায়গায় জল জমে গিয়েছে। অনেক জায়গায় এখনও জল নামেনি। বাইরের বাইরে বেরোতে পারছেন না অনেকে। কাজের জন্য বা অন্য কোনও দরকারে বাড়ির বাইরে বাড়ির বাইরে যেতে প্রবল সমস্যা হচ্ছে তাদের। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাজ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। এর মাঝে ফের বৃষ্টি সমস্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।