বিজেপির ডাকা বনধে বাংলায় মিশ্র প্রভাব। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবং মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে বনধ ডেকেছে রাজ্য বিজেপি। তার প্রভাব জায়গায় জায়গায় পড়েছে।
বিশেষ করে কলকাতায় এর প্রভাব পড়েছে। যা লক্ষ্যণীয়। শহর কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় সকাল থেকে বনধ সফল করতে নামে বিজেপি। প্রতিরোধে রাস্তায় নামে তৃণমূল কংগ্রেস।
কোনও কোনও জায়গাতে বিজেপি ও তৃণমূল সামনা সামনি পড়ে যায়। একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।
কলকাতায় সকাল থেকে বাসের সংখ্যা ছিল অন্যদিনের তুলনায় কম। সকাল থেকে বাসের সংখ্যা কম থাকলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাসের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
টালা সেতুতে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সকাল থেকে আসরে নেমে পড়েছেন বন্ধের সমর্থনে। কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষিপ্ত বচসা, ধস্তাধস্তির ছবি ধরা পড়ে।
বিজেপি-র ডাকে বাংলা বনধ ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি কোলে মার্কেটে। বিজেপি নেতা ও কাউন্সিলর সজল ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভ। জোর করে দোকান বন্ধ করার চেষ্টার অভিযোগ বনধ সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সাধারণ মানুষের দাবি, ওষুধের দোকান জোর করে বন্ধ করা হচ্ছে। কলকাতায় শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের শাটার নামিয়ে দিল বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা।
কৃষ্ণনগরে রেললাইনে নেমে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। বন্ধ রেল চলাচল। কোনও কোনও জায়গায় রেল থেমে থাকে অনেকক্ষণ।
রাস্তায় রাস্তায় বাস নামলেও অনেক চালক হেলমেট পরে নামেন। তবে কলকাতায় যাত্রীও এদিন অন্যদিনের তুলনায় কম ছিল