বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে মিছিল করলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। শনিবার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শুরু হয় মিছিল। পৌঁছয় রানি রাসমনি রোডে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের দাবি, সরকারি কোষাগার থেকে পুজোর অনুদান দেওয়া হচ্ছে। অথচ প্রাপ্য ডিএ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে সরকারি কর্মীদের। প্রায় ১০ হাজার সরকারি কর্মী শামিল হয়েছিল বিক্ষোভ মিছিলে।
এ দিন বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের ২৭টি সংগঠন মিছিল করে শহরে। মিছিল শেষে রানি রাসমনি রোডে সভা করে তারা। সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নেতাদের মূলত দু'টি দাবি। প্রথমত, সমস্ত সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ৩১ শতাংশ ডিএ বাকি কর্মীদের। দ্রুত তা মিটিয়ে দেওয়া হোক। ইতিমধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবে তারা। পরবর্তীকালে আরও বড় কর্মসূচি কথা জানিয়েছে। রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির বক্তব্য, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সব রাজ্যেই ডিএ বাড়ানো হয়েছে। অথচ এ রাজ্যে ৩১ শতাংশ ডিএ বকেয়া।
বলে রাখি, চলতি বছর ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে তিন মাসের মধ্যে। ৩১ শতাংশ ডিএ বকেয়া। তবে রায়ের পর আড়াই মাস কেটে গেলেও রাজ্য সরকারের তরফে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি। গত শুক্রবার হাইকোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় নবান্ন। মঙ্গলবার তা গ্রহণ করেছে আদালত। আগামী ২৯ অগাস্ট মামলার শুনানি।
বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে (স্যাট) ২০১৬ সালে মামলা করে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পান কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। সেই তুলনায় ৩১ শতাংশ কম ডিএ পান তাঁরা। বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল স্যাট। রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। স্যাটের নির্দেশ বহাল রাখে আদালত।
আরও পড়ুন- জেলে ঢোকানোর হুঁশিয়ারি সুকান্তর, ফিরহাদের প্রশ্ন,'কী পাপ করেছি?'