Adenovirus: অ্যাডেনোভাইরাসের দাপট অব্যাহত, ৭ দিনে রাজ্যে প্রাণ হারাল ৩০ শিশু

অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে অ্যাডিনোভাইরাস প্রতিরোধে তারা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  

Advertisement
অ্যাডেনোভাইরাসের দাপট অব্যহত, ৭ দিনে রাজ্যে প্রাণ হারাল ৩০ শিশুপ্রতীকী ছবি।
হাইলাইটস
  • অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
  • বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর।

অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে অ্যাডিনোভাইরাস প্রতিরোধে তারা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  শুক্রবার সকালে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বি সি রায় শিশু হাসপাতালে। সকাল সাড়ে আটটার পর ফের বেলা বারোটায় মারা যায় আরও এক শিশু।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতের ময়না অঞ্চলের বাসিন্দা ১০ মাসের শিশুকন্যার মৃত্যু হয় ফুলবাগান শিশু হাসপাতালে। গত বেশ কিছু দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট -র মতো উপসর্গে ভুগছিল এই একরত্তি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ৯ দিন আগে পরিবার বি সি রায় শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসেন চিকিৎসার জন্যে। এরপর শুরু হয় চিকিৎসা। গত সোমবার শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, পাঠানো হয় পি আই সি ইউ (ছোটদের চিকিৎসার জন্য আই সি ইউ)- তে।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বস্ত করেছেন, অযথা উদ্বিগ্ন না হওয়ার। বাড়ির বড়দের আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরও উদ্বেগ পুরোপুরি কাটছে না। শুক্রবার সকালেই বিসি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) এক শিশু কন্যার মৃত্যুর (Child Death) খবর আসে। বেলা গড়াতে আরও দুই শিশুর মৃত্যু বিসি রায় হাসপাতালে।

এক বছর তিন মাস বয়সের এক শিশুকে গতকাল রাতে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে বিসি রায় হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরের বাসিন্দা ওই শিশুর জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টের উপসর্গ ছিল। গত বুধবার থেকে অসুস্থ ছিল ওই শিশু। এদিন সকালে ১১ টা নাগাদ বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। শিশুর কোমর্বিডিটি ছিল বলে জানা গিয়েছে।

এই নিয়ে রাজ্যে গত সাতদিনে ৩০ শিশুর মৃত্যুর খবর মিলল। চিকিৎসক মহলের একাংশ মনে করছে, দূরবর্তী হাসপাতালগুলি থেকে বিসি রায় হাসপাতালে রেফার করার ফলে, অনেকক্ষেত্রেই অনেকটা দেরি হয়ে যাচ্ছে। 

Advertisement

আরও পড়ুন-দক্ষিণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, উত্তরে বৃষ্টি, তুষারপাতের সম্ভাবনা, দিনভর কেমন রাজ্যের আবহাওয়া?

 

POST A COMMENT
Advertisement