বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সহিষ্ণুতা নিয়ে মুখ খুলেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। এবার তাঁর মন্তব্য,ভেদাভেদ, ঘৃণা, অসহিষ্ণুতার পরিস্থিতি দেশে বেশিদিন চলবে না। নিজের নামাঙ্কিত রিসার্চ সেন্টারে এক আলাপচারিতায় অমর্ত্য বলেন,'মতের মিল না হলে মানুষকে মারধর করা হচ্ছে। অন্যের বক্তব্য শুনতে আপত্তি করা হচ্ছে। মানুষকে মর্যাদা দেওয়ার ক্ষমতা কমেছে। ভারতে কখনও এমন অবস্থা বেশি দিন চলেনি।'
সল্টলেকে 'অমর্ত্য সেন রিসার্চ ইনস্টিটিউটে' বৈচিত্র্যে সমন্বয় শীর্ষক আলাপচারিতার অমর্ত্য বলেন,'দুনিয়া জুড়েই ধর্মে ধর্মে, জাতিতে জাতিতে ভয়ঙ্কর ভুল বোঝাবুঝি বড় সমস্যা । এজন্য পরস্পরের বিষয়ে অশিক্ষা, অজ্ঞানতা দায়ী। ধর্মের নামে লোকজনকে মারধর করা হচ্ছে। তাঁদের কথাগুলো শুনতেও আমাদের তীব্র আপত্তি । মানুষকে মর্যাদা দেওয়ার ক্ষমতা কমেছে বলেই আমরা পিছিয়ে পড়ছি। ভারতে এমন অবস্থা কিন্তু কখনও খুব বেশি দিন চলেনি।'
মাতামহ ক্ষিতিমোহন সেনের যুক্তসাধনার তত্ত্বের উপরে স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, গবেষকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন অমর্ত্য। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের কাছে ক্ষিতিমোহনে যুক্তসাধনার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান এক ছাত্রী। সে নিয়ে বলতে গিয়েই ভারতের সঙ্কটের সমাধানসূত্র হিসেবে গান্ধী, সুভাষচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথের আর্দশের কথা বলেছেন অমর্ত্য। তিনি বলেন,'গান্ধী নিজেও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রস্তুতি-পর্বে বলেছিলেন আমাদের মধ্যে বৈষম্য কমাতে হবে। অন্যকে সম্মান জানানোর ক্ষমতা আমাদের কমছে। সেটাই আমাদের পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ।'
২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে বৈষম্য ও অস্থিরতা বেড়েছে বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা। কারও নাম করেননি অমর্ত্য সেন। তবে এনআরসি নিয়ে সংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি জবাব দিয়েছেন, 'এরা যে সবরকম ভাবে বিভাজন চায়, সেটাতে আমি আর অবাক হই না।'
আরও পড়ুন- 'ডিএ মিলবে রাজ্যের কর্মীদের', মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বড় আপডেট