রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া বরানগরে, ৭ দিন বাবা-মা'র দেহ আগলে মেয়ে

ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগরের টি.এন.চ্যাটার্জি স্ট্রিটে । সাত দিন ধরে বাবা মায়ের মৃতদেহ আগলে রাখলেন মেয়ে ও নাতনি। অবশেষে রবিবার একটি বহুতল আবাসনের নীচের ঘর থেকে উদ্ধার হলো বৃদ্ধ চিকিৎসক দম্পতির পচাগলা মৃতদেহ।

Advertisement
রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া বরানগরে, ৭ দিন বাবা-মা'র দেহ আগলে মেয়ে মৃতদেহের প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগরের টি.এন.চ্যাটার্জি স্ট্রিটে
  • সাত দিন ধরে বাবা মায়ের মৃতদেহ আগলে রাখলেন মেয়ে ও নাতনি।
  • অবশেষে রবিবার একটি বহুতল আবাসনের নীচের ঘর থেকে উদ্ধার হলো বৃদ্ধ চিকিৎসক দম্পতির পচাগলা মৃতদেহ।

ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগরের টি.এন.চ্যাটার্জি স্ট্রিটে । সাত দিন ধরে বাবা মায়ের মৃতদেহ আগলে রাখলেন মেয়ে ও নাতনি। অবশেষে রবিবার একটি বহুতল আবাসনের নীচের ঘর থেকে উদ্ধার হলো বৃদ্ধ চিকিৎসক দম্পতির পচাগলা মৃতদেহ। বরানগর থানার পুলিশ গিয়ে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

বরানগর পৌরসভার অন্তর্গত ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর টি.এন.চ্যাটার্জি স্ট্রিট এর ওই বহুতল আবাসনেই থাকতেন ৮০ বছর বয়স্ক এ.কে.চৌধুরী এবং তার স্ত্রী এস.চৌধুরী (৭৮)। স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ই পেশায় ডাক্তার ছিলেন। তাদের সাথেই থাকতেন এই দম্পতির একমাত্র কন্যা দেবী ভৌমিক(৪৮) ও নাতনি। 

গত ২৩ নভেম্বর থেকে মৃতদেহ দুটি ঘরেই পড়েছিল।প্রথমে ডাক্তার মারা যাওয়ার পরে ডাক্তারের স্ত্রীও মারা যান। আজই পরিবারের এক আত্মীয় বরানগর থানায় ফোন করে গোটা ঘটনা জানায়। এর পরই পুলিশ গিয়ে পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে। বরানগর থানার পুলিশ ওই ডাক্তার দম্পতি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। 
ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেয়েকে আটক করছে পুলিশ। আবাসনের বাসিদান্দের অনুমান ওই ডাক্তার দম্পতির মেয়ে এবং নাতনি ওভয়ই মানসিক ভারসাম্যহীন। 

আদিত্য ভট্টাচার্য নামে এক প্রতিবেশী জানান "আমরা গত ১০ বছর ধরে এই আবাসনে আছি ওই মৃত ওই দম্পতির সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক ছিল না। ওরা নিজেদের মতোই থাকতেন। আজ সকালে দেবী ভৌমিক এর কাছে জানতে চাই তার পরিবারের সবাই সুস্থ আছেন কিনা? তিনি জানান সবাই ভালো আছে। গত কয়েকদিন ধরে আমরা একটা বাজে গন্ধ পাচ্ছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম হয়তো ইঁদুর মরে থাকতে পারে। যাই হোক এরকম এক বৃদ্ধ দম্পতি চলে গেলেন যেটা খুব দুঃখের এবং বেদনার।" 


POST A COMMENT
Advertisement