বিড়ম্বনা বাড়ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। সোমবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করে ইডি। দুজনকেই ১৪ দিন হেফাজতে চায় তদন্তকারী সংস্থা। একইসঙ্গে আদালতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও তুলে ধরা হয় ইডির পক্ষ থেকে।
ইডির পক্ষ থেকে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল জানান, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আরও ১০০ কোটিরও বেশ বাজেয়াপ্ত হবে। এটাকে অনেক বড় দুর্নীতি বলেও দাবি করেন তিনি।অনেকেই এর সঙ্গে জড়িত। এমতাবস্থায় দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
ইডি জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের "ঘনিষ্ঠ সহযোগী" অর্পিতা মুখোপাধ্যায় "আর্থিক অসদাচরণ" এর জন্য প্রায় ১২টি জাল সংস্থা চালাচ্ছিলেন। আদালতে এএসজি ইডির কাছে সম্পূর্ণ হেফাজতের দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, এই কেলেঙ্কারিতে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্র বিতরণ করা হয়েছে। ওই লোকেরা ঘুষ দিয়েছে। দুটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। একটি পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যটি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের লোকেশনে।
ইডির তরফে আরও জানানো হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় যৌথভাবে একটি সম্পত্তির মালিক। সেই সংক্রান্ত নথিও উঠে এসেছে তদন্তকারী সংস্থার (ED) হাতে। জানা গিয়েছে ২০১২ সালে সেই সম্পত্তি কিনেছিলেন পার্থ। এমনকী যে বিপুল পরিমান টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা ২-১ দিনের মধ্যে সরিয়ে ফেলার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই অভিযান চালায় ইডি। এদিকে এদিন ভুবনেশ্বর এইমসে শারীরিক পরীক্ষা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। পরীক্ষায় তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল পাওয়া গিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
আদালতে এএসজি আরও জানান, পার্থর বাড়ি থেকে অর্পিতার ফ্ল্যাটের নথি উদ্ধার করা হয়েছে। পার্থ প্রতিনিয়ত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। পার্থ তদন্তে সহযোগিতাও করছেন না। দুজনেই যৌথ নামে কেনাকাটা করতেন। এমনকী পার্থবাবু তাঁর গ্রেফতারের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতেও অস্বীকার করছেন।
আরও পড়ুন - হাতে মাত্র ৩ টিকিট, অথচ সিনেমা দেখলেন চার বাবা-ছেলে, জানুন ধাঁধার উত্তর