দেশ বিদেশ থেকে আগত শিল্পপতিদের কাছে বাংলায় বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী শিল্পপতিদের জানান, বাংলায় বিনিয়োগের পরিবেশ রয়েছে। এই রাজ্যে বিনিয়োগ করলে শিল্পপতিদের লাভ হবে। বাংলা হল করিডোর। বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী আরও কী কী গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন রইল তার গুরুত্বপূর্ণ ৮ পয়েন্ট।
১) মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই শিল্পপতিদের ধন্যবাদ জানান। গৌতম আদানিকে বিশেষ করে ধন্যবাদ জানান তিনি। ৪২ দেশ সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। তালিকায় রয়েছে জাপান, জার্মানি, আমেরিকা, নেদারল্যান্ড, কেনিয়া, বাংলাদেশ-সহ অনেক দেশ।
২) মুখ্যমন্ত্রী জানান, করোনার পর পশ্চিমবঙ্গই প্রথম রাজ্য যারা এই সম্মেলন করল। অন্য কোনও রাজ্য এখনও করতে পারেনি। বাংলা এগিয়ে। সরকার আশাবাদী, এবারের সম্মেলনও সাফল্য পাবে। এর আগের সম্মেলনগুলিতেও বাংলায় বিনিয়োগ এসেছে বলে দাবি করেন তিনি।
৩) মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৮ স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলা। আর সেই স্তম্ভগুলো হল কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিনামূল্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ইত্যাদি। তাঁর দলের সাংসদের ৩৮ শতাংশ মহিলা বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, বাংলায় মেয়েদের উন্নতিক সবরকম চেষ্টা করা হয়। বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে মহিলাদের জন্য।
আরও পড়ুন : মাস্ক বাধ্যতামূলক হল এই জায়গাগুলিতে, Lockdown-এর সংকেত?
৪) ইমামভাতা, পুরোহিত ভাতার কথার উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি জানান, বাংলায় কোনও কর্মদিবস নষ্ট হয় না। বাংলায় এখন কাজের পরিবেশ রয়েছে। মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। তাই বিনিয়োগ করলে শিল্পপতিরাব লাভবান হবেন।
৫) বাংলার জিডিপি নিয়েও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, দেশের জিডিপি রেট কমলেও রাজ্যের বেড়েছে। রাজ্যে কর্মসংস্থান হয়েছে। রাজ্যের প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পান। চাষিদের জন্য বাংলার কী কী প্রকল্প রয়েছে তারও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
৬) শিল্প ও কৃষিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দুই বোন বলে উল্লেখ করেন। শিল্প ও কৃষির মাধ্যমে উন্নতি সম্ভব। তাই দুটোতেই গুরুত্ব দেওয়া দরকার। ১০০ দিনের কাজ, MSME ইত্যাদিতে বাংলা খুব সবসময় এগিয়ে বলে দাবি করেন তিনি।
৭) বাংলাকে গেটওয়ে বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, বাংলা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার গেটওয়ে। এখানে বিনিয়োগ করলে নেপাল, ভুটান, সিঙ্গাপুরেও ব্যবসা ছড়িয়ে পড়বে। তাতে লাভবান হবেন শিল্পপতিরা। বাংলায় শিল্প বান্ধব পরিবেশ রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'বাংলায় এসে বিনিয়োগ করুন। আপনাদের ভালো হবে। বাংলায় কর্মদিবস নষ্ট হত। এখন হয় না।'
৮) বক্তৃতার শেষে রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আমরা কেন্দ্রের সমস্ত সহযোগিতা চাই। আর দেখবেন এজেন্সিগুলি যেন শিল্পপতিদের বিরক্ত না করে।'