রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃতদের জন্য এবার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃতদের জন্য ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন, রক্ষা পেলেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও, মেদিনীপুরে ভি মুরালিধরনের গাড়িতে হামলা
কী বললেন মমতা
মমতা বলেন, সব রাজনৈতিক দলের যে কোনও কর্মী খুন হয়েছেন, তাদের পরিবারকে সাহায্য করা হবে। ৩ তারিখ পর্যন্ত ১৬ জন মারা গিয়েছে। তার মধ্যে বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মীরাও রয়েছেন। সংযুক্ত মোর্চার কর্মীরাও রয়েছেন। আমি চাই না হিংসা হোক। কিন্তু আমি দেখতে পাচ্ছি কিছু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়োজন ছাড়াই তারা কেন গ্রামে গ্রামে গিয়ে উসকাচ্ছেন। আর দাঙ্গার প্ররোচনা দিচ্ছেন তারা। আগে পুলিশে রদবদল করা হয়েছিল। নির্বাচনে পরে এমন ঘটনা হয়। কিন্তু তা যদি না হয়, তার জন্য বিজয় মিছিল করতে বারণ করেছিলাম। ২৪ ঘণ্টার একটা সরকারের হয়নি। তার মধ্যে চিঠি চলে আসছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চলে আসছে। আমি বিজেপিকে বলব, সংযত হন। মানুষের রায় মেনে নিন। উদয়ন গুহর হাত ভেঙে দিয়েছে। কোচবিহারে গুণ্ডামিটা একটু বেশি হচ্ছে। যেহেতু কোচবিহারে ওরা বেশি সিট পেয়েছে। যেখানে যেখানে ওরা বেশি সিট পেয়েছে সেখানে সেখানে গুণ্ডামিটা করছে। তৃণমূল কর্মীদের আমি বলব, কোথাও কোনও গণ্ডগোলে না যেতে। গণ্ডগোল করলে আমি কাউকে ক্ষমা করব না। অক্সিজেন-স্যালাইন-ভ্যাকসিন না থাকলে, টিম আসে না তো। ৩৬ ঘণ্টা যায়নি তার মধ্যে টিম চলে এসেছে। অতিথিরা এখন আসতে পারেন। মন্ত্রীদের আসতে হলে আরটিপিসিআর টেস্ট করিয়ে তার সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে। না হলে আমরা টেস্ট করব। কোভিড হলেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে।
ক্ষতিপূরণের ঘোষণা মমতার
মমতা বলেন, মিথ্যা কথা রটানো হচ্ছে। বাংলার বদনাম করানো হচ্ছে। বিজেপি বাংলার মা-বোনেদের নামে মিথ্যা কথা রটাচ্ছে। এর মধ্যে ধর্মের ভদাভেদ নেই। কেউ যদি দাঙ্গা করবে, সরকার তাকে কঠোর শাস্তি দেবে। কোনও দাঙ্গা কেউ করবে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্ররোচনা দিচ্ছেন। ৩-৪ জায়গায় গণ্ডগোল হয়েছে। মোট ১৬ জন খুন হয়েছে। তার মধ্যে সব দলের লোক আছে। প্রতিটা পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে সাহায্য করব।