আগামী ২৮ ও ২৯ মার্চ দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। তাতে কৃষক সংগঠনগুলিরও সমর্থন রয়েছে। বনধের দিন যাতে বাংলায় জনজীবন সচল থাকে তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। নির্দেশিকা জারি করে জানান হল, বনধের দিন সরকারি অফিস, সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক। নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কামাই করলে বেতন কাটা যাবে।
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে শ্রমিক-বিরোধী, কৃষক-বিরোধী ও জনবিরোধী নীতি প্রণয়নের অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। তার প্রতিবাদে ২৮ এবং ২৯ মার্চ বনধ ডাকা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি সবক্ষেত্রের কর্মীদের সামিল হওয়ার আহ্বান করেছে সংগঠনগুলি। তবে রাজ্য সরকার নীতিগতভাবে বনধ বিরোধী। শনিবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া ২৮ এবং ২৯ মার্চ অনুপস্থিত থাকা যাবে না। যে কোনও একদিন হাজিরা না দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হবে। অনুপস্থিতির কারণ জানাতে হবে ওই কর্মীকে। নোটিসের জবাব না দিলে শৃঙ্খলাভঙ্গের নিয়মে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে গরহাজিরায় চারটি ছাড় দেওয়া হয়েছে। কোনও কর্মী হাসপাতালে ভর্তি, পরিবারের কারও মৃত্যু, ২৫ মার্চের আগে থেকে অসুস্থ থাকলে ছুটি নিতে পারবেন। এছাড়া শিশুর দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত ছুটি, মাতৃত্বকালীন, মেডিক্যাল এবং ২৫ মার্চের আগে আগাম ছুটি নেওয়া থাকলে ছাড় পাবেন কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় নিরাপত্তায় আসানসোল-বালিগঞ্জে ভোট, কত বাহিনী আসছে?