
করোনা অতিমারির আবহেই হানা দিল বার্ড ফ্লু (Bird Flu)। প্রতিটি রাজ্যেই রোজ শয়ে শয়ে পাখি মারা যাচ্ছে। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই হাই অ্যালার্ট জারি করেছে। বার্ড ফ্লু-এর ভাইরাসের পোশাকি নাম অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা (Avian Influenza Virus)। একাধিক রাজ্য কেরলে হাঁস ও মুরগির নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই মুরগির বা হাঁসের মাংস ও ডিম প্রেমীদের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে, মুরগির মাংস কি খাওয়া উচিত? হাঁস বা মুরগির ডিম খেলে কি বার্ড ফ্লু হতে পারে? কেরলে ইতিমধ্যেই ১৭০০টি হাঁসের মৃত্যু হয়েছে ফ্লু-এর জেরে। বার্ড ফ্লু নিয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কয়েকটি প্রশ্ন ও তার উত্তর দিয়েছে। জেনে নিন।
বার্ড ফ্লু (Bird Flu) সংক্রমণের আবহে কি মুরগি বা হাঁসের মাংস খাওয়া যেতে পারে?
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, ঠিক মতো রান্না করলে মুরগি বা হাঁসের মাংস বা পলট্রি-জাত খাবার নিরাপদ। সে ক্ষেত্রে খাবারে বার্ড ফ্লু ভাইরাস প্রবেশের কোনও সম্ভাবনা নেই। কোনও অঞ্চলে বা পলট্রি ফার্মে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ হলে, সে ক্ষেত্রে মুরগিতে হাত দেওয়া বা ডিমে হাত দেওয়ায় কোনও ভয় নেই। মুরগি, হাঁস বা টার্কি রাঁধলে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার তাপমাত্রায় যেন তা রাঁধা হয়, খেয়াল রাখতে হবে, মাংস কোনও ভাবেই যেন কাঁচা না থাকে। ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপে ভাইরাসটি মরে যায়। একই সঙ্গে পলট্রি ফার্মে সর্বদা পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
ডিম খাওয়া যেতে পারে?
ডিম খাওয়া নিরাপদ। তবে মানতে হবে WHO-র পরামর্শ। ডিমের ক্ষেত্রে, কোনও ভাবেই কাঁচা ডিম খাওয়া যাবে না। সর্বদাই ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপে তা রান্না করে খেতে হবে। কাঁচা মাংস বা ডিম, তৈরি করা খাবারের সংস্পর্শে যেন না আসে। তা হলে সংক্রমণের ভয় রয়েছে। একই ছুরিতে মাংস কেটে অন্য সবজি বা কিছু কাটবেন না। যে পাত্রে কাঁচা মাংস থাকবে, সেই পাত্রেই রান্না করা মাংস রাখবেন না। ভাল করে হাত ধুতে হবে। কাঁচা ডিম হাত দিলে, ভাল করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
আধ সেদ্ধ ডিম এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। ডিম ভাল করে সেদ্ধ করে খাওয়া নিরাপদ। ডিমের কুসুম যেন আধ সেদ্ধ না থাকে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, পলট্রি-জাত খাবার ভাল করে রান্না করে খেলে, বার্ড ফ্লু সংক্রমণের কোনও আশঙ্কা নেই। এবং অবশ্যই মানতে হবে পরিচ্ছন্নতা বিধি।