আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ‘ব্যাটেল অফ ভবানীপুর' দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন রাজ্যবাসী। ভবানীপুর কেন্দ্র নিয়ে ক্রমেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। আর হবে নাই বা কেন? এই কেন্দ্র থেকে এবার যে প্রার্থী হয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার তাঁর প্রধান সেনাপতি ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে এবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে নালিশ করলো বিজেপি। বিজেপির এক প্রতিনিধি দল কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন। সেখানে রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
চিঠিতে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম যাতে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে না পারেন, তার দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার এলাকা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার-ব্যানার খুলে নেওয়ার কথাও লেখা হয়েছে। ভবানীপুর উপনির্বাচনের জন্য ৪০ কোম্পানি সিআরপিএফ দাবি করেছে গেরুয়া শিবির।
এর আগেও ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হতে দেখা গেছে বিজেপিকে। ভবানীপুরে উপনির্বাচনে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। তাই পোলিং অফিসার হিসেবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের নিয়োগ করা হলে নিরপেক্ষতা থাকবে না। ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে গিয়ে এই অভিযোগ করে এসেছেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের আবেদন, ভবানীপুরে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের পোলিং অফিসার হিসেবে রাখা হোক।
সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে একগুচ্ছ দাবি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বিজেপি নেতা দীনেশ ত্রিবেদী, সৌমিত্র খাঁ, শিশির বাজোরিয়া ও অর্জুন সিং। সেদিনও ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করার দাবি করেন গেরুয়া শিবিরের প্রতিনিধিরা। তাঁদের আশঙ্কা, ফিরহাদ কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন। প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে ভোটে বাধা দিতে পারেন ফিরহাদ। এর পাশাপাশি ভোটপ্রক্রিয়ায় কেন্দ্রের কর্মীদের নিয়োগ করার দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতারা। বুথে পোলিং এজেন্ট বসতে না দেওয়ার আবেদনও করেছে বিজেপি। তাদের যুক্তি, কোভিড পরিস্থিতিতে বুথে পোলিং এজেন্ট রাখা উচিত নয়।