'মারবো এখানে...,' বিতর্কিত ডায়লগে আজ ফের জিজ্ঞাসাবাদ মিঠুনকে

মিঠুন পুলিশের কাছে দাবি করেন, ব্রিগেডের সভায় ওই মন্তব্যগুলি একেবারেই বিনোদনের জন্য, ভোটে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার মতো কোনও ইচ্ছে বা উদ্দেশ্য ছিল না। হাইকোর্টে মিঠুন আবেদন জানান, শিয়ালদহ অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের এজলাসে শুনানি রদ করা হোক।

Advertisement
'মারবো এখানে...,' বিতর্কিত ডায়লগে ফের জিজ্ঞাসাবাদ মিঠুনকেমিঠুন চক্রবর্তী
হাইলাইটস
  • তৃতীয়বার অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ
  • সম্প্রতি মানিকতলা থানায় মিঠুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়
  • ৪ মে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে টুইট করেন মিঠুন

ব্রিগেডে নির্বাচনী জনসভায় মন্তব্যে আজ অর্থাত্‍ সোমবার ফের বলিউড তারকা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কলকাতা পুলিশ। গত ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড জনসভায় মিঠুনের বিতর্কিত মন্তব্যে এই নিয়ে তৃতীয়বার অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: "আমি জলঢোঁড়াও নই...আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি!" BJP-তে যোগ দিয়ে নয়া স্লোগান মহাগুরুর 

'মারবো এখানে, লাশ পড়বে...'

ওই জনসভায় মিঠুন চক্রবর্তী একটি সিনেমার সংলাপ বলেছিলেন, 'মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে,' ও 'এক ছোবলে ছবি'। এরপরেই মিঠুনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। এফআইআর-এর অভিযোগ, ভোটে হিংসায় উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন মিঠুন। তার জন্য ভোট-পরবর্তী হিংসা হয়েছে।

মিঠুন পুলিশের কাছে দাবি করেন, ব্রিগেডের সভায় ওই মন্তব্যগুলি একেবারেই বিনোদনের জন্য, ভোটে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার মতো কোনও ইচ্ছে বা উদ্দেশ্য ছিল না। হাইকোর্টে মিঠুন আবেদন জানান, শিয়ালদহ অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের এজলাসে শুনানি রদ করা হোক। গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্ট মিঠুন চক্রবর্তীকে নির্দেশ দেয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে তাঁর ই-মেল আইডি দিতে, যাতে স্বশরীরে উপস্থিত না থাকতে পারলেও জিজ্ঞাসাবাদে ভার্চুয়ালি যেন থাকতে পারেন। 

ভোট-হিংসায় উস্কানির অভিযোগ

হিংসায় মদত জোগানোর অভিযোগে সম্প্রতি মানিকতলা থানায় মিঠুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, উস্কানিমূলক মন্তব্য, শান্তিভঙ্গের চেষ্টা, বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং ভিন্ ধর্মের মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানো-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয় সেইসময়। এফআইআর খারিজের জন্য এর পর আদালতের দ্বারস্থ হন মিঠুন। কিন্তু তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেয় আদালত। 

গত শুক্রবার তদন্তের স্বার্থে পুলিশের তরফে আদালতের কাছে আরও সময় চাওয়া হয়। আর সেই আবেদনই মঞ্জুর করেন বিচারপতি।

গত ৪ মে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে টুইট করেন মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু সেই টুইটের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলায় ভোট-পরবর্তী হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করা হয় মিঠুনের বিরুদ্ধে।  তারকা নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভোট প্রচারে গিয়ে সিনেমার গরম সংলাপ আওড়ে হিংসায় উস্কানি দিয়েছেন মিঠুন। আর সেই অভিযোগ জানিয়েই ৬মে মাণিকতলা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছিলেন যুব তৃণমূলের দুই নেতা মৃত্যুঞ্জয় পাল ও জয় মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement