বিষ্ণুপুর থেকে আসানসোল যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে মিঠুন চক্রবর্তীর কনভয়। পরপর ধাক্কা মারল ৩টি গাড়ি। ওই তিনটি গাড়ির একটিতে ছিলেন মিঠু। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩টি গাড়ি। কেউ আহত হননি বলে খবর। মিঠুন এবং তাঁর সঙ্গে থাকা সকলেই সুরক্ষিত। নির্দিষ্ট সময়েই দুর্গাপুর পৌঁছন 'মহাগুরু'। তবে তাঁর গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাঁকুড়ায় সফর করে এ দিন আসানসোল যাচ্ছিলেন মিঠুন। একাধিক গাড়ির কনভয়ে ছিলেন মিঠুন। বিষ্ণুপুরের কাছাকাছি তিন মাথার মোড়ে আচমকাই মিঠুনের কনভয়ের সামনে চলে আসে একটি সাইকেল। সেই সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে ব্রেক কষে কনভয়ের সামনে থাকা গাড়িটি। ওই গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে মিঠুনের গাড়ি। মিঠুনের গাড়ির পিছনে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়িও ধাক্কা মারে মিঠুনের গাড়িতে। তবে অভিনেতা সুরক্ষিত আছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁর গাড়ির সামনের অংশ।
গাড়ি মেরামতের জন্য আসানসোল থেকে মিস্ত্রি ডেকে পাঠানো হয়। তিনি এসে জানান, গাড়ি সম্পূর্ণ সারাতে অনেকটা সময় লাগবে। তা শুনে ওই ভাঙা গাড়িতেই বসেন মিঠুন। কনভয় এগিয়ে যায় আসানসোলের দিকে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় সফর শুরু করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। মাঠে নেমে রাজনীতি করছেন। গত বুধবার পুরুলিয়া দিয়ে শুরু হয় তাঁর সফর। আগামিকাল, ২৭ নভেম্বর রবিবার মিঠুনের সভা বোলপুরে। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজমুদার। এ দিন লাউদোহায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। সেখানে তাঁর সামনে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। কেউ জেলার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন। কেউ সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সবার কথাই শুনেছেন মিঠুন। আলাদা করে কথা বলার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
এ দিন পঞ্চায়েত ভোটে মহাজোটের পক্ষে সওয়াল করেছেন মিঠুন। তিনি বলেন,'তৃণমূল যখন সরকারে এসেছে তখন সিপিএমকে হারানোর জন্য সকলে একজোট হয়েছিল। এটা অস্বীকার করে লাভ নেই, এমন একটা শক্তিকে হারাতে গেলে সকলের একসঙ্গে আসা উচিত।' সেই সঙ্গে তাঁর প্রতিশ্রুতি, বিজেপি বাংলার ক্ষমতায় এলে বিনিয়োগের জোয়ার আসবে। এমন শিল্প হবে যা কল্পনাও করা যাবে না।
আরও পড়ুন- জেলে থাকলেও বীরভূমের TMC সভাপতি অনুব্রতই, সংগঠনের দায়িত্বে ৪ MLA