গত কয়েক মাস ধরে গারদে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সমস্ত পদ থেকে ছাঁটলেও কেন কেষ্টকে এখনও তৃণমূল জেলা সভাপতি করে রেখেছে, সেনিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। বিরোধীদের কটাক্ষকে আমলই দিল না শাসক দল। তাঁকে সভাপতি পদে রেখে পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে চায় তৃণমূল কংগ্রেস।
শুক্রবার ক্যামাক স্ট্রিটের নিজের দফতরে বীরভূমের ১০ জন তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে ৪ বিধায়কের হাতে সংগঠনের রাশ তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে জেলার দায়িত্বে থাকছেন কেষ্টই। গত ১১ অগস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠন সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিং,বীরভুম জেলা পরিষদের সভাপধিপতি তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ও লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংকে।
অনুব্রতর অনুপস্থিতি বীরভূমে তৃণমূলের মধ্যে যাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা না যায় তা-ও নিশ্চিত করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ওই বৈঠকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, জেলা বা সাংগঠনিক রদবদলে কাউকে যেন বাদ না দেওয়া হয়। জেলা বা ব্লক কমিটি থেকে কোনও নেতাকে অন্য পদ দেওয়া ছাড়া বদল না করা হয়।
এ দিন অনুব্রত মণ্ডলকে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে আদালত। ইডি অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায়। ইতিমধ্যেই তারা রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল। তা চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে যান অনুব্রতর আইনজীবীরা। সেই মামলার শুনানি শুক্রবারই দিল্লি হাইকোর্টে হওয়ার কথা ছিল। এ দিনই দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল।
আরও পড়ুন- নতুন করে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত কার? ব্রাত্য বসু যা বললেন