Black Fungus : ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে নোটিফায়েড রোগ বলে ঘোষণা করল রাজ্য

'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস' মোকাবিলায় ২০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ-পরামর্শদাতা কমিটি গঠন করল রাজ্য সরকার। এই কমিটি রাজ্যে মিউকরমাইকোসিস পরিস্থিতি এবং তার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় তদারকি করবে।

Advertisement
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে নোটিফায়েড রোগ বলে ঘোষণা করল রাজ্য'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস'কে নোটিফায়েড রোগ বলে ঘোষণা করল রাজ্য সরকার
হাইলাইটস
  • 'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস'কে নোটিফায়েড রোগ বলে ঘোষণা করল রাজ্য সরকার
  • এবার থেকে এই রোগে কেউ আক্রান্ত হলে তা সরকারকে জানাতে হবে
  • যাতে এই রোগের ব্যাপারে সহজে তথ্য জানা যেতে পারে

'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস'কে নোটিফায়েড রোগ বলে ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এবার থেকে এই রোগে কেউ আক্রান্ত হলে তা সরকারকে জানাতে হবে। যাতে এই রোগের ব্যাপারে সহজে তথ্য জানা যেতে পারে।

দেশের বিভিন্ন অংশে এই রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিকে, 'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস' মোকাবিলায় ২০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ-পরামর্শদাতা কমিটি গঠন করল রাজ্য সরকার। এই কমিটি রাজ্যে মিউকরমাইকোসিস পরিস্থিতি এবং তার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় তদারকি করবে।

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এসএসকেএম ও কলকাতা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন, এই দুই জায়গার মধ্যে যে কোনও একটি হাসপাতালকে মিউকরমাইকোসিসের চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে বলে ভাবা হচ্ছে।

তবে এখন রাজ্যে 'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কোনও বড় আতঙ্কের কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন না চিকিৎসকরা। তাঁরা বলছেন, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁরাই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক সুদীপ্ত মিত্র জানান, পশ্চিমবঙ্গে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আতঙ্কের কারণ হয়েছে, এটা বলা যাচ্ছে না। এই রোগ হচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই করোনা রোগীদের। এর অন্যতম কারণ অনেক করোনা রোগীকে স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করতে হচ্ছে।

Black Fungus
ব্ল্য়াক ফাঙ্গাস নিয়ে রাজ্যের নির্দেশিকা

তিনি জানান, স্টেরয়েড দেওয়ার ফলে রোগীদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই তাঁদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রমণ করছে। এ ছাড়া যাঁদের ব্লাড সুগার আছে, তাঁদের স্বাভাবিক কারণেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।

সুদীপ্ত মিত্র জানাচ্ছেন, তাই ব্লাড সুগারের রোগীদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। তবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নতুন কিছু নয়। এবং এর থেকে এখনই এত বেশি আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকা–

  • ২০ সদস্যের পরামর্শদাতা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে থাকছেন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা।
  • করোনার মতো এসএসকেএম-কে ফাঙ্গাসের চিকিসৎসার উৎকর্ষ কেন্দ্র করতে হবে।
  • এই কমিটি রোগী শনাক্ত করবে, চিকিৎসার পরামর্শ দেবে।
  • ভাল ভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ধুলো ও নির্মাণস্থলে গেলে সতর্ক থাকতে হবে।
  • বাগানে গেলে বড় হাতাওয়ালা জামা, বড় ট্রাউজার, জুতো, গ্লাভস পরতে হবে।
  • স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
  • স্ক্র্যাবার দিয়ে ভাল করে শরীর ঘষে স্নান করতে হবে।
  • করোনা পরবর্তী ও ডায়বেটিক রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নজরে রাখতে হবে।
  • স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিফাঙ্গালেরম মতো ওষুধ সতর্ক হয়ে ব্যবহার করতে হবে।
  • ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় রেডিওডিয়াগোনোসিস, ইয়েরনাল মেডিসিন, ইএনটি, ম্যাক্সিলোফেসিয়াল, ইন্টারনাল মেডিসিন, ইনফেকশাস ডিজিস, নিউরোলজিস্ট, ডেন্টিস্ট, প্লাস্টিক সার্জন, অপথালমোলজিস্ট নিয়ে বোর্ড গঠন করতে হবে।

     

POST A COMMENT
Advertisement