চলতি মাসের শেষের দিকেই নিউটাউনের মিনি চিড়িয়াখানায় আনা হচ্ছে বিশেষ প্রজাতির হরিণ। আনা হচ্ছে একটি সিংহও। চিড়িয়াখানার দায়িত্বে থাকা রাজ্য বন দফতরের একজন পদস্থ আধিকারিক একথা জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সিংহ রাখার জায়গা তৈরির কাজ চলছে।
বাঁকানো শিংযুক্ত হরিণ (brow antlered deer), যাকে ড্যান্সিং হরিণও বলা হয়। ওই হরিণ পাওয়া যায় মণিপুরে। মূলত কেইবুল লামজাও ন্যাশনাল পার্কে (KLNP) লোকটাক হ্রদের আশেপাশে ওই হরিণ পাওয়া যায়। ১৯৫০-এর গোড়ার দিকে হরিণের এই প্রজাতিটিকে বিলুপ্ত প্রায় হিসেবে সংরক্ষণের চেষ্টা চলছিল। সেই হরিণই মণিপুর থেকে আনা হচ্ছে। প্রথমে হরিণগুলিকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় রাখা হবে। তারপর আনা হবে নিউটাউনে। আপাতত চারটি হরিণ আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৭ একর জায়গা জুড়ে তৈরি নিউটাউনের মিনি চিড়িয়াখানা। এশিয়ার সিংহ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং চিতাবাঘও আনা হবে চিড়িয়াখানায়। সেইসব জায়গাও তৈরির কাজ চলছে। আপাতত বিভিন্ন ধরনের পাখি কুমির এবং একাধিক প্রজাতির হরিণ রাখা হয়েছে নিউটাউনের হরিণালয়ে | আনা হয়েছে জেব্রা। আগামী দিনে এখানে বেঙ্গল টাইগার, লেপার্ড, রেড ক্যাঙ্গারু, হিপোপটেমাস প্রভৃতি রাখার পরিকল্পনা করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। সমস্ত প্রাণীদের খাঁচার সামনে লাগানো হবে কাঁচ। যার ভেতর দিয়ে দর্শকরা পাখি-সহ অন্যান্য প্রাণীদের দেখতে পারবেন।
বিশেষ বিশেষ ছুটির দিনগুলিতে জীব-জন্তুদের দেখতে কচিকাঁচাদের উপচে পড়া ভিড় লেগে থাকত আলিপুর চিড়িয়াখানাতেই। ভিড় হবে জেনেও ছুটির দিন বাচ্চাদের নিযে বাবা-মায়েরা আলিপুরেই ছুটে যেতেন। তবে এখন থেকে কলকাতায় আরও একটি চিড়িয়াখানা চালু হয়ে যাওয়ায় এবার কচিকাঁচাদের সঙ্গে নিয়ে অনেকেরই গন্তব্য হচ্ছে নিউটাউনের এই চিড়িয়াখানা।
আরও পড়ুন-কলকাতায় আর একটি মহিলা থানা, এবার সার্ভে পার্কে