scorecardresearch
 

SSC Recruitment: নতুন করে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত কার? শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যা বললেন

এ দিন হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, কীভাবে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? তার উত্তরে মণীশ জৈন জানান, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল উপযুক্ত স্তর থেকে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর তরফে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। 

Advertisement
ব্রাত্য় বসু- ফাইল ছবি। ব্রাত্য় বসু- ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • ব্রাত্যর নির্দেশে অতিরিক্ত শূন্যপদ, আদালতে জানালেন শিক্ষাসচিব।
  • মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছিল, দাবি ব্রাত্যর।

এবার অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ মামলায় নাম জড়িয়েছে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। শুক্রবার হাইকোর্টে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন দাবি করেছেন,উপর মহল থেকেই তাঁর কাছে অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ এসেছিল। এনিয়ে ব্রাত্য বসু জানান, শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদ পূরণের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। তার পর শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে আইনি পরামর্শ নিতে বলা হয়েছিল। 

এ দিন হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, কীভাবে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? তার উত্তরে মণীশ জৈন জানান, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল উপযুক্ত স্তর থেকে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর তরফে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। 

সে কথা কার্যত মেনে নিয়েছেন ব্রাত্য। তাঁর কথায়,''মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর আমি সচিবকে আইনি পরামর্শ নিতে বলেছিলাম।' তবে আইনি বিষয় বলে এর বেশি ভাঙতে চাননি শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন,'মাননীয় বিচারপতি আজ কী জানতে চেয়েছেন বা তাঁর কাছে শিক্ষাসচিব কী জানিয়েছেন, সব আদালতে হয়েছে। আইনি বিষয়। এ সবের আইনি ব্যাখ্যা থাকে। আমার এ নিয়ে এখন কিছু বলার নেই। কিছু বলার হলে নিশ্চয়ই উপযুক্ত জায়গা থেকে বলা হবে।'

বলে রাখি, শুক্রবার শিক্ষাসচিবকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন,'আপনি কি জানেন, কমিশনের আইন অনুযায়ী কোনও বেআইনি নিয়োগ করা যায় না? তা হলে অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন তৈরি করা হল?' এই প্রশ্নের উত্তরে মণীশ জৈন দাবি করেন,উপযুক্ত স্তর থেকেই তাঁর কাছে নিয়োগের নির্দেশ এসেছিল। ব্রাত্য বসুই নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেছিলেন বলে আদালতে জানিয়েছেন শিক্ষাসচিব। মণীশ ব্যাখ্যা দেন,'আইনজীবী এবং অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। আইন দফতরের সঙ্গেও কথা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। সবশেষে জানানো হয় মুখ্যসচিবকে। তারপরে নিয়োগের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়।'

Advertisement

তার পর ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য,'আপনি কি মনে করেন,অবৈধদের চাকরি বাঁচানো দরকার? এটা কোনও রাজ্যের নীতি হতে পারে? আবার বলা হচ্ছে, কারও চাকরি যাবে না। অবৈধদের নিয়োগ করার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা?' এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে জানান শিক্ষাসচিব। 

ক্ষুব্ধ বিচারপতি তখন বলেন,'হয় ক্যাবিনেটকে বলতে হবে যে, আমরা অযোগ্যদের পাশে নেই এবং ১৯ শে মে-র বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে এমন পদক্ষেপ করব যেটা গোটা দেশে কখনও হয়নি। কেন প্রতি বছর অতিরিক্ত প্রায় ২৬২ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে এই অযোগ্য প্রার্থীদের জন্য? মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তকে সংবিধানবিরোধী কাজ বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন- 'যান অরণ্যদেব গাঙ্গুলি যা করার ক্ষমতা করে নিন', কুণালের নিশানায় আসলে কে?

Advertisement