সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে ডিএ-প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি-সহ একাধিক ইস্যুতে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের চাকরি যাওয়ার পিছনে ডিএ আন্দোলনকে দায়ী করেন তিনি। আর তারপর সোমবার মাঝরাতে ফেসবুক পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
মুখ্যমন্ত্রী সেই ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'আজ নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে কিছু বিষয় নিয়ে কথা বললাম যা আমার অবিলম্বে মনোযোগ প্রয়োজন। বাংলার মানুষ আমার সম্পদ। আমি সবসময় তাদের ভালো থাকার অগ্রাধিকার দিয়েছি এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছি, এবং আমি ভবিষ্যতে আমার কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে চাই। আমি সব প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে আমি সবসময় নিশ্চিত করবো যে কেউ যেন একটি সার্বজনীন জীবন যাপন থেকে বঞ্চিত না হয়। আমাদের রাজ্যের প্রতিটি ব্যক্তি উন্নতি পাওয়ার যোগ্য, এবং আমি তা নিশ্চিত করবো। কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার কারণে আমাদের জনগণ অবিরাম ভোগান্তিতে পড়ছে। তাদের ভেন্ডেটা রাজনীতির কারনে নিরপরাধ মানুষ দুর্দশার দিকে ধাবিত হয়েছে। আমি সবাইকে নিশ্চিত করছি যে এই ধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে যতক্ষণ না আমরা বিজয়ী হই। জয় বাংলা।'
আরও পড়ুন : ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ সংশোধন কলকাতা হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বিকেলেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক দাবি করেন। তিনি সাফ জানান, 'ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, এটা একটা অপশন। টাকা থাকলে ভালবেসে দিতাম। অফিস টাইমে কাজ বন্ধ করে মিছিল করা হচ্ছে। এটা সার্ভিস রুল ব্রেক হচ্ছে না? রোজ কাজ না করার হুঙ্কার। সব জায়গায় কোঅর্ডিনেশন কমিটির লোকেরা বসে আছে। কিন্তু আমি সহানুভূতিশীল। আমি কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করিনি। তার মানে কিন্তু আমি দুর্বল নই।'
আরও পড়ুন : 'ডিএ দিয়ে দিন, তাহলে আর ঝামেলা হবে না', রাজ্যকে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি যাওয়া নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। জানান, '১২৬ শতাংশ ডিএ দিয়েছি। অধিকার নয়, অপশন। তাও দিয়েছি। রাজ্য সরকারের সার্ভিস রুল আলাদা। যান না সেন্ট্রাল গর্ভমেন্টের চাকরি খুঁজে নিন। আমাদের নিয়ম কানুন আছে। সেই মতো মানতে হবে। আমার টাকা থাকলে ভালোবেসে পুরস্কার দিলাম। আমি তো প্রতিবার ৩ শতাংশ দিই। ৩৫ শতাংশ বামেরা দিয়েছিল। আর আমরা ১২৬ শতাংশ দিয়েছি।'