Coal Case: মমতার দিল্লিযাত্রার আগেই শান্তিনিকেতনে CBI, রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ

কয়লাপাচার-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে দিল্লিতে অভিষেকের স্ত্রীকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু হাজিরা দেননি রুজিরা। তিনি জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ছোট দুই সন্তানকে ফেলে রেখে যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।

Advertisement
মমতার দিল্লিযাত্রার আগেই শান্তিনিকেতনে CBI, রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদঅভিষেক ও রুজিরা - ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • আজ দিল্লি যাত্রা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • তার আগে শান্তিনিকেতনে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-র।

কয়লাপাচার-কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই-র আধিকারিকরা। ৮ সদস্যের সিবিআই টিম গিয়েছে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি শান্তিনিকেতনে। দলে রয়েছেন মহিলা তদন্তকারীরাও। আজই ত্রিপুরায় গিয়েছেন অভিষেক। দুপুর ২টোয় দিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, কয়লা পাচারকাণ্ডে বেশ কিছু নতুন তথ্য হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। তার ভিত্তিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে রুজিরাকে।    

সিবিআই সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ককের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে রুজিরার নামে। ওই অ্যাকাউন্টে নানা হাত ঘুরে লালার টাকা জমা হয়েছিল। অনুপ মাঝি ওরফে লালা অশোক মিশ্রকে টাকা পাঠাতে বলেছিলেন। অশোক মিশ্র নীরজ সিংকে টাকা পাঠাতে বলেন। লালার অনুমোদন নিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা ব্যাঙ্ককের সেই অ্যাকাউন্টে পাঠান নীরজ সিং। লালা এবং অশোক মিশ্রকে সেই স্ক্রিনশটও পান। এর আগে গত বছর মার্চে রুজিরাকে বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, সেবার ব্যাঙ্ককের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছিলেন রুজিরা। তবে সিবিআই গোয়েন্দারা মনে করছেন, নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে কীভাবে অন্ধকারে থাকতে পারেন অভিষেক-জায়া!       

এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, আজই ত্রিপুরায় সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিজেপির অবস্থা টলমল। সেই আশঙ্কায় সিবিআই-কে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। রাজনৈতির প্রতিহিংসার কথা অস্বীকার করেছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়,'ভারতে যে কেউ যেখানে ইচ্ছা যেতে পারেন। কেউ আটকাবে না।'      

কয়লাপাচার-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে দিল্লিতে অভিষেকের স্ত্রীকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু হাজিরা দেননি রুজিরা। তিনি জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ছোট দুই সন্তানকে ফেলে রেখে যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। চাইলে কলকাতায় তাঁর বাড়ি এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তদন্তকারীরা। রুজিরার বিরুদ্ধে পরোয়ানাও জারি করেছিল দিল্লির আদালত। তবে দিল্লিতে দু'বার গিয়ে ইডি-র মুখোমুখি হয়েছেন অভিষেক। তিনিও বলেছিলেন, কলকাতা থেকে দিল্লি আসা সম্ভব নয় রুজিরার। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।

Advertisement

আরও পড়ুন- অশান্তি থামাতে সেনা? রাজ্যকে যা বলল হাইকোর্ট...

POST A COMMENT
Advertisement