রাজ্য জুড়ে অশান্তির মোকাবিলায় দরকারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিতে পারে রাজ্য। সোমবার একটি জনস্বার্থ মামলায় এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিজেপির সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে। সেনা নামানোর আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা।
বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির ঘনঘটা। পুলিশ প্রশাসন সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ। সেনা নামানোর আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে এ দিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, অশান্তির ঘটনায় ২১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাম জমানায় তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে বিক্ষোভের কথা স্মরণ করিয়ে দেন মামলাকারীদের আইনজীবী। তাদের বক্তব্য, সেই সময় পরিস্থিতি সামলাতে সেনা নামাতে হয়েছিল।
দু'দিনের মধ্যে রাজ্যকে পুরো ঘটনার রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। তাদের বক্তব্য,যদি মনে করে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিতে পারে রাজ্য। আগামী ১৫ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
নূপুরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে গত কয়েক দিন ধরে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি হয়েছে। বিশেষ করে হাওড়ার ধুলাগড়, অঙ্কুরহাটি, পাঁচলা, উলুবেড়িয়ায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। তার জেরে হাওড়ায় ইন্টারনেট পরিষেবা দু'দিন বন্ধ রাখা হয়।। অশান্তি ছড়ায় মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ও নদিয়ার বেথুয়াডহরিতেও। পশ্চিমবঙ্গের ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম এ দিন জানান,৪২টি মামলা দায়ের হয়েছে। এই ঘটনায় যুক্ত কাউকে রেয়াত করা হবে না। এখনও পর্যন্ত ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বর্ষা আসছে দক্ষিণবঙ্গে, আগামী ৫ দিন এই জেলাগুলিতে বৃষ্টি