সরকারি আইনজীবী চেয়েছিলেন ১০ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত। তবে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সেই আবেদনে সাড়া দিল না। কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা কৌস্তুভ বাগচীকে জামিন দিল আদালত। হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। শনিবার ১০০ জন আইনজীবী কৌস্তুভের হয়ে সওয়াল জবাব করেন আদালতে। আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেন, কীভাবে রাত ৩টেয় কারও বাড়িতে যেতে পারে পুলিশ?
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগে শুক্রবার গভীর রাতে কৌস্তুভের বারাকপুরের বাড়িতে যায় পুলিশ। ৫ ঘণ্টা পর সকাল ৮টায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুলিশ সূত্রে খবর, কৌস্তভের মন্তব্যের ভিত্তিতে বড়তলা থানায় লিখিত অভিযোগের কারণেই এই গ্রেফতার। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ৫০৪, ৫০৫, ৫০৬, ৫০৯, ৩৫৪এ এবং ১২০বি ধারায় আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করা হয়।
কৌস্তুভের পাশে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেস এবং বাম আইনজীবীরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন,' মুখ্যমন্ত্রী সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। কৌস্তভের পাশে আছি। তাঁর পরিবারকে রাত ৩টে থেকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। যেন কোনও উগ্রপন্থীকে গ্রেফতার করতে যাচ্ছে। পথে নেমে প্রতিবাদ করবে কংগ্রেস।'
তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজার কথায়,'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার পশ্চিমবঙ্গ। সারাজীবন আত্মত্যাগ করেছেন তিনি। মানুষের জন্য কাজ করেছেন তিনি। তাঁকে অপমানিত করা হয়েছে।'
শনিবার গ্রেফতারির সময় কোন ধারায় গ্রেফতার করা হচ্ছে তাঁকে,সে নিয়েও পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় কৌস্তভের। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির পর কৌস্তুভ বলেন,'বিনা কারণে আমায় হয়রান করা হচ্ছে। এখানে আইনের শাসন নয়, শাসনের আইন চলছে। মাতৃসমা মুখ্যমন্ত্রী পুত্রসম কৌস্তুভ বাগচীকে গ্রেফতার করাচ্ছেন, এটাই আমায় জয়। মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়ে গিয়েছেন।'
বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নাম না করে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে দীপক ঘোষের বইয়ের কথা তোলেন কৌস্তুভ। সেনিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারির সাড়ে আট ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেলেন কৌস্তুভ।
আরও পড়ুন- 'পুলিশি অভিযান ঠিক হল না,' কৌস্তুভের গ্রেফতারির বিরোধিতায় কুণাল