scorecardresearch
 

CPIM Protirodh Bahini : পঞ্চায়েতে ভোট লুঠ রুখতে বুথ প্রতিরোধ বাহিনী গড়ার ডাক সিপিআইএমের

CPIM Protirodh Bahini: ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সিপিআইএম তোড়জোড় শুরু করে দিল। তারা বুথ প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলার ডাক দিয়েছে।

Advertisement
পঞ্চায়েত ভোটে বুথ প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলার ডাক দিল সিপিআইএম (প্রতীকী ছবি) পঞ্চায়েত ভোটে বুথ প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলার ডাক দিল সিপিআইএম (প্রতীকী ছবি)
হাইলাইটস
  • পঞ্চায়েত ভোটের বাকি এখনও প্রায় এক বছর
  • তবে তার দামামা যেন বেজে গিয়েছে
  • সিপিআইএম বুথ প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলার ডাক দিয়েছে

CPIM Protirodh Bahini: পঞ্চায়েত ভোটের বাকি এখনও প্রায় এক বছর। তবে তার দামামা যেন বেজে গিয়েছে। আগামী আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। হাতে সময় রয়েছে বেশ কিছুটা। কিন্তু এরই মাঝে রাজ্যের প্রায় সব ক'টি রাজনৈতিক দলই সেই ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। 

গতবারের অভিজ্ঞতা
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সিপিআইএম তোড়জোড় শুরু করে দিল। তারা বুথ প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলার ডাক দিয়েছে। সিপিআইএম বলেছে, পঞ্চায়েতের লুঠ বন্ধ করো। লুটেরাদের হাত থেকে মুক্ত করে মানুষের পঞ্চায়েত গড়ে তোলো। বুথে প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে ভোট বন্ধ করো।" দলের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। 

গতবার পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক অভিযোগ উঠেছিল। কাঠগড়ায় ছিল শাসকদল। অভিযোগ, বিরোধীদের বড়সড় অংশকে প্রার্থী পদে লড়তে দেওয়া হয়নি বা মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি। তাঁদের ভয় দেখানো হয়েছে। তৃণমূল বড়সড় জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল। তা নিয়ে প্রবল সমালোচনা পড়েছিল।

CPIM booth protection team protirodh bahini before WB Panchayat Election

তৃণমূল কার্যত বিরোধী-শূন্য পঞ্চায়েতের ডাক দিয়েছিল। এবং ভোটের ফলাফল বলছে তা তেমনই হয়েছিল। তাদের কয়েকজন নেতার মন্তব্য নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। খুব কম জায়গায় বিরোধী দলের প্রার্থীরা দিতে পেরেছিলেন বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: ওলা থেকে মাসে কামান ৫০ হাজার টাকা, লাগবে এই Documents

আরও পড়ুন: ভাবা অ্যাটমিকে চাকরির দারুণ সুযোগ, বাড়ল রেজিস্ট্রেশনের সময়

আরও পড়ুন: কোন মুসলিম প্রধান দেশের নোটে গণেশের ছবি রয়েছে?

বিধানসভায় খুব খারাপ ফল বামেদের
একুশের বিধানসভা ভোটে সিপিআইএম তথা বামফ্রন্ট কোনও আসন জিততে পারেনি। যদিও তার কিছুদিন পর কলকাতা পুরসভা ভোটে এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটা বিধানসভা এবং পুরসভা উপনির্বাচনের তাদের ফল তুলনামূলক ভাল হয়েছে 

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের পরের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূল ফল খারাপ করেছিল। তার কারণ হিসেবে বলা হয় পঞ্চায়েত ভোটে মানুষকে ভোট না দিতে দেওয়ার মানুষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। এবং তা গিয়েছে বিজেপির ভোট বাক্স। 

তবে তৃণমূল কংগ্রেস ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যেন তা মেরামত করে। তারা দারুণ রেজাল্ট করেছে বললে ভুল বলা হবে না। বিজেপি ২০০-র বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে বলে দাবি করেছিল। কিন্তু তাদের দাবি পূরণ হয়নি। বিজেপি ৭৭ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। যদিও তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পরে তৃণমূলে নাম লেখায়।

দু'বছর পর একুশে জুলাই তৃণমূল ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করবে। সেখানে সভার আয়োজন করা হয়েছে। করোনার কারণে গত দু'বছর প্রকাশ্যে সভা করা যায়নি। মনে করা হচ্ছে, ওইদিনের সভা থেকে তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটের দিশা নির্দেশ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

Advertisement