বায়ু দূষণের অন্যতম উৎস গাড়ির ধোঁয়া। কালীপুজোয় এবার বাজি প্রায় ফাটেনি বললেই চলে। আর তাই কমেছে দূষণ। নিউটাউন (New Town)--এ সেই সাফল্য ধরে রাখতে চায় হিডকো। তারা ঠিক করেছে, গাড়ির ধোঁয়া কমাতে হবে। খুব সহজেই তা করে ফেলা যায়। আর তাই ডিসেম্বর মাসে প্রচার চালাবে নিউটাউন এবং নবদিগন্ত (Sector Five)-এর পাঁচটি জায়গায়, যেখানে গাড়ির ভিড় বেশি হয়।
হিডকো জানিয়েছে, ১ ডিসেম্বর থেকে ওই প্রচারাভিযান শুরু হবে। চলবে ১৫ তারিখ পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে এবার কালীপুজোয় বাজি কম পুড়েছে। ফলে দূষণ অনেক কম হয়েছে। সেই তথ্য বিভিন্ন সমীক্ষায় থেকে উঠে এসেছে।
বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস ধরা হয় পরিবহণ ক্ষেত্রকে। গাড়িঘোড়ার ধোঁয়া থেকে দূষণ ছড়ায়। তবে খুব সহজেই তা কিছুটা কমানো যায়। দেখা যায়, অনেক সময় সিগন্য়ালে দাঁড়িয়ে থাকলেও অনেক গাড়িচালক ইঞ্জিন বন্ধ করেন না। সেটি চালিয়ে রাখেন। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ওই সামান্য সময় গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ থাকলে দূষণ অনেকটাই কমানো যায়। এবং সব থেকে বড় কথা এটা সবার হাতেই রয়েছে। এর জন্য বিশেষ কোনও ব্যবস্থা করতে হবে না। দরকার মানুষের মধ্য়ে সচেতনতা। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাহায্যে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
কী করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে
শনিবার হিডকো জানিয়েছে, প্ল্যাকার্ড-ব্যানার হাতে স্বেচ্ছাসেবকরা গাড়িচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। কোনও সিগন্যালের সামনে যখন কোনও গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকবে, তাদেঁর ওই প্ল্যাকার্ড দেখানো হবে। যেখানে বার্তা থাকেব, 'গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ রাখুন'। এখন তাঁরা গাড়িচালকদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। কারণ করোনা সংক্রমণের জন্য বেশিরভাগ গাড়ির কাচ তোলা থাকে। তাই তারা প্ল্যাকার্ডের মাধ্য়মে ইঞ্জিন বন্ধ রাখার বার্তা দেবেন।
কোথায় হবে
নিউটাউন এবং নবদিগন্তের পাঁচটি জায়গা তা চলবে। কলেজ মোড়, টেকনোপলিস মোড়, নারকেলবাগান মোড়, ইকোপার্ক এবং সিটি সেন্টার-২। এই জায়গাগুলি বেছে নেওয়ার করাণ কী? সেখানে প্রচার চালানো হবে কারণ সেখানে গাড়ির চাপ সবথেকে বেশি থাকে। ফলে আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যাবে। তাঁদের সচেতন করে তোলা যাবে। সবাই যদি এটা মেনে চলেন, তা হলে অনেকটাই দূষণ অনেকটাই কমানো যেতে পারে। তাই এ ব্যাপারে প্রচারের কাজে নামা হচ্ছে।