বিদেশ সফরে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ। মঙ্গলবার দিল্লি রওনা দেবেন। মঙ্গলবার সেখান থেকে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উড়ান ধরবেন। ফিরবেন সেই ৭ অক্টোবর। এদিকে, বাংলায় আটক রয়েছে ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথগ্রহণ। তৃণমূল নেতৃত্ব চাইছে, রাজ্যপালের বিদেশ সফরের আগেই গোটা প্রক্রিয়াটি সেরে ফেলতে। রাজভবনে চিঠি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে গোটা বিষয়টি বিশ বাঁও জলে। এমতাবস্থায় বিকল্প পথের কথাও তৃণমূল নেতৃত্ব ভাবনাচিন্তা করছেন বলে খবর।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ধুপগুড়ি উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। নিকটতম বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়কে হারিয়ে জয় পান তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায়। কিন্তু রাজভবন ও পরিষদীয় দফতরের সংঘাতে এখনও শপথবাক্য পাঠ করেননি তৃণমূল বিধায়ক। সোমবার করম পুজো উপলক্ষে ছুটি রাজ্য সরকারের সব দফতরে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তৎপর হয়ে উঠেছে পরিষদীয় দফতর। রাজভবনে পাঠানো হচ্ছে চিঠি। সূত্রের খবর, পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সদ্য বিদেশ থেকে ফিরেছেন। শোভনদেবের কাছে মমতা জানতে চান, কেন শপথবাক্য পাঠ করানো যায়নি। এরপর রাজভবনে দ্রুত চিঠি পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিধায়কের শপথগ্রহণ না হওয়ায় এলাকার মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, বলে চিঠিতে লেখার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সংবাদ মাধ্যমে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, 'বিদেশ যাচ্ছেন রাজ্যপাল। তাঁর যাওয়ার আগেই যাতে রাজ্যপালের হাতে সেই চিঠি পৌঁছয় সেই চেষ্টা করব। অধ্যক্ষকে শপথ নেওয়ার কথা বলে দিতে পারেন।' পরিষদীয় দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যপাল শপথবাক্য পাঠ করাতে না পারলেও বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। রাজ্যপাল শহরে না থাকলে তাঁর শপথবাক্য পাঠ করানোর সম্ভাবনাই নেই। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা ডেপুটি স্পিকার আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিয়ে যেতে পারেন রাজ্যপাল। সবমিলিয়ে পুরো বিষয়টাই ঝুলে রাজ্যপালের অনুমতির উপরে।
পরিষদীয় দফতর জানাচ্ছে, কোনও বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চায় পরিষদীয় দফতর। সেই অনুমতি পাওয়ার পরই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুমতি মেলেনি। এখন আবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। বস্তুত, সাম্প্রতিককালে নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বেড়েছে। বিধায়কের শপথও সেই তালিকায় নয়া সংযোজন।