ডিএ নিয়ে কর্মবিরতি করেছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের একাংশ। বকেয়া ডিএ পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন এখনও চলছে। তার মধ্যেই শিক্ষক ও সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তরবঙ্গের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন শিক্ষক ও সরকারি কর্মীরা এই সরকারের বন্ধু। তাঁর কথায়, 'টাকা নাই পয়সা নাই তাও বলুন তো কারও চাকরি বন্ধ হয়েছে? শিক্ষকরা কি বামফ্রন্টের আমলে ১ তারিখে মাইনে পেতেন ? কোনও শিক্ষকের টাকা বন্ধ হয়েছে? কোনও সরকারি কর্মীর টাকা বন্ধ হয়েছে? গোটা দেশে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ দেয় পেনশন। আর কোনও রাজ্য পেনশন দেয় না। সব বন্ধ করে দিয়েছে। বছর বছর ৩ শতাংশ করে ডিএ আমরা দিই। এবং এই কবছরে ডিএ দিতে আমাদের ১ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে।'
আরও পড়ুন : SBI গ্রাহকদের জন্য বড় খবর, এক মেসেজে ফাঁকা হতে পারে অ্যাকাউন্ট
তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, 'সরকারি কর্মচারীরাও আমার বন্ধু। শিক্ষকরাও আমার সাথী। তারা ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকব। ছেলেজ-মেয়েরা ভালো থাকবে। যতটা প্রয়োজন, যতটা পারি আমরা সবার জন্য করি।'
প্রসঙ্গত, ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের সব সরকারি অফিসগুলিতে পূর্ণদিবস কর্ম বিরতির ডাক দেয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই আন্দোলনকে সমর্থন করে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের একাংশও। শহিদ মিনার চত্বরে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন এখনও চলছে। সঙ্গে অনশনও। আন্দোলনকারীদের দাবি, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা না পেলে তাঁরা আন্দোলন থেকে সরবেন না। তারই মধ্যে এল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তা।
আরও পড়ুন : 'যাঁরা পেন ডাউন করছেন তাঁরা গণশত্রু', বিস্ফোরক জয়প্রকাশ; পাল্টা ভাস্কর ঘোষ
এর আগে বাঁকুড়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি তো ম্যাজিশিয়ান নই। আমি গুপি গাইন, বাঘা বাইন নই। আমাকেও টাকা জোগাড় করতে হয়। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও ৩ শতাংশ ডিএ দিয়েছি। দিল্লির সরকার খাদ্য এর টাকা দিচ্ছে না। খাদ্য বিদেশে পাঠাতে হবে। গরিব মানুষকে দেবে না। বলছে আবাসের টাকা দেবে না। আমাদের টাকা আমাদের দিচ্ছে না। বলছে ওদের ভাতে মেরে দাও। এত সস্তা নয়, বাংলার মানুষ ভিক্ষা চায় না। মাথা উচু করে বাঁচতে চায়।'