বকেয়া ডিএ-র দাবিতে পেন ডাউন করেছেন সরকারি কর্মীরা। তা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর কথায়, 'যাঁরা আজ পেন ডাউন করছেন তাঁরা গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত হবেন।'
জয়প্রকাশ মজুমদারের আরও সংযোজন, 'যাঁরা সরকারি কর্মচারী তাঁরা মানুষের জন্য কাজ করবেন। সেটাই স্বাভাবিক। অথচ তাঁরা কাজ করছেন না। কিন্তু বেতন নেবেন। এটা তো ঠিক নয়। তাই এই সব সরকারি কর্মীরা গণশত্রু। বাম, CPIM-এর মদতে এই আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। আর এমনিতেই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাহলে আন্দোলন কেন? এত অর্থনৈতিক অসুবিধের মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩ শতাংশ ডিএ দিয়েছেন। তারপরও সরকারি কর্মীদের একাংশ আন্দোলনের নামে রাজ্যের কর্ম সংস্কৃতিকে অচল করার চেষ্টা করছেন।'
আরও পড়ুন : ডিএ কর্মবিরতিতে নয়া মোড়, এবার রাজ্যকে আইনি নোটিশ সরকারি কর্মীদের
জয়প্রকাশ মজুমদারকে পাল্টা দিয়েছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। তিনি বলেন, 'এই সরকার মোটামুটি জনবিছিন্ন হওয়ার জায়গায় চলে গেছে। তাই গণশত্রু কে সেটা এই সরকার ভেবে দেখুক। এই অন্দোলন এখন শুধু সরকারি কর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সাধারণ মানুষও সমর্থন করছে। সবাই এখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, এই সরকারের কাছে টাকা আছে কিন্তু, তারা দিচ্ছে না। আর কিছুদিন গেলেই এই সরকার বুঝতে পারবে, সরকারি কর্মীরা গণশত্রু না এই সরকারই।'
এই আন্দোলনের পিছনে CPIM-এর মদত রয়েছে। এই অভিযোগ করেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তা নিয়ে CPIM নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'জয়প্রকাশ মজুমদারের কথা মতো তাহলে ৯৫ শতাংশ সরকারি কর্মী তাহলে গণশত্রু। এই সরকার তাহলে ৫ শতাংশ মিত্র নিয়ে থাকুক। আর বামেরা যদি এই আন্দোলনকে ইন্ধন দিচ্ছে বলে উনি মনে করেন, তাহলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।সরকারি কর্মী, শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে বামেরা বরাবর ছিল, আছে ও থাকবে।'
প্রসঙ্গত, ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি পেন ডাউন বা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মচারীদের একাধিক সংগঠন। এমন অবস্থায় কড়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সরকারি কর্মীদের ওই দিনগুলিতে অফিসে হাজিরা দিতেই হবে। কোনও ক্যাজুয়াল লিভ বা অন্য কোনও ধরনের ছুটি নেওয়া যাবে না। নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।