Durga Puja 2021: পুণ্যতীর্থ কালীঘাটের আদিগঙ্গার তীরে মুখার্জী ঘাট (Mukherjee Ghat)-এ প্রাচীন দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। ১৯২২ সালে তার যাত্রা শুরু হয়। এই পুজো (Durga Puja) দক্ষিণ কলকাতার দ্বিতীয় এবং কলকাতার চতুর্থ প্রাচীনতম বারোয়ারী পুজো হিসেবে পরিচিত।
শিক্ষকের হাত ধরে শুরু
এই পুজো (Durga Puja)-র প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন চক্রবেড়িয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক বগলাচরণ ঘোষ। ভক্তরা গঙ্গায় স্নান করে আচার-বিধি মেনে দেবীর কাছে শুদ্ধাচারে অঞ্জলি দিতেন। এটাই এই পুজোর ঐতিহ্য।
পরবর্তী কালে যা এই পুজো (Durga Puja)-র অংশ হিসাবে গৃহীত হয়। এবং আজও এই পুজোর রীতির ব্যতিক্রম ঘটেনি। সেকালের এই পুজোর সঙ্গে কিছু ব্যক্তিত্ব জড়িত ছিলেন।
তাঁদের মধ্যে রয়েছেন লালবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায়, শশীভূষণ নন্দী, রমাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়, যতীন্দ্রনাথ দাস, মণিমোহন অঙ্কুর, চুনীলাল মুখার্জী, বীরেশ্বর চট্ট্যোপাধ্যায় প্রমুখ। এই শতবর্ষে (২০২১) এখনও সেই পুরানো রীতি মেনে এই পুজো (Durga Puja) করে আসছেন।
বহু পুরনো পুজো
কলকাতার প্রাচীনতম ৪র্থ বারোয়ারী পুজো হিসাবে প্রসিদ্ধ। যা ভবানীপুর সার্বজনীন ধর্মপ্রসারিণী সমিতি (মুখার্জী ঘাট) নামে পরিচিত। এ বছর এদের পুজো একশোতে পড়ল।
সাবেকিয়ানাই ভরসা
গত নিরানব্বই বছর ছিল না কোনও আরম্ভ, ছিল না থিমের বালাই, ছিল আবেগ নিষ্ঠা। আদি গঙ্গার তীরে মুখার্জি ঘাট (Mukherjee Ghat)। ১৯২২ সাল থেকেই তিথি নক্ষত্র মেনে কলাবউ স্নান থেকে বিসর্জন পর্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে সাবেকি নিয়ম মেনে পুজো করে এসেছেন মুখার্জি ঘাটের বাসিন্দারা।
পুণ্যতীর্থ কালীঘাটের আদি গঙ্গায় স্নান সেরে দেবীকে অঞ্জলি দেওয়ার রীতি এখানে আজও প্রচলিত। ১৯২২ সালে যাত্রা শুরু করা এই পুজো (Mukherjee Ghat) দক্ষিণ কলকাতার দ্বিতীয় বারোয়ারী সার্বজনীন পুজো।
সময়ের নিয়ম ধরে
কালের নিয়মে সামান্য পরিবর্তন মেনে নিতে হয়। তাই শতবর্ষে এদের মণ্ডপের সাবেকি চিন্তা-ভাবনার সজ্জা থেকে বেরিয়ে এসে থিমের ভাবনায় আবর্তিত হয়েছে। লেগেছে বদলের ছোঁয়া। সনাতন ধর্মের শাস্ত্রে শিব পরমসত্ত্বা রূপে ঘোষিত। তিনি সৃষ্টি, স্মৃতি, লয়। তিনিই পরমেশ্বর।
এই সারস্বত সত্যকে ভাবনায় ও কল্পনায় ফুটিয়ে তুলতে চেয়ে কিছু সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহারের মাধ্যমে শতবর্ষের ভাবনা এই নিয়েই এবারের ভাবনা "দেবাদিদেব"। মণ্ডপ রূপায়নে অরূপ সাহা মন্ডল, প্রতিমা শিল্পী মোহন বাঁশি রুদ্রপাল।