scorecardresearch
 

ময়লা সাফের নামে 'কানমলা' দিল্লিতে , কলকাতার রাস্তাতেও রমরমিয়ে চলে কান পরিস্কার; কতটা নিরাপদ ?

কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় কানের ময়লা পরিস্কারের জন্য বিভিন্ন রেল-মেট্রো স্টেশনের চত্বরে কিছু লোক ঘুরে বেড়ায়। কাছে এসে বলে, কান পরিষ্কার করুন। অনেক ময়লা জমে আছে। পরিষ্কার না করলে ইনফেকশনও হতে পারে। অনেকেই খরচ জানতে চান, বলা হয় ২০-৪০ টাকা। এরপর কানের ময়লা পরিস্কার করার কাজ শুরু হয়। 

Advertisement
ছবি সংগৃহীত। ছবি সংগৃহীত।
হাইলাইটস
  • কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় কানের ময়লা পরিস্কারের জন্য বিভিন্ন রেল-মেট্রো স্টেশনের চত্বরে কিছু লোক ঘুরে বেড়ায়।
  • কাছে এসে বলে, কান পরিষ্কার করুন। অনেক ময়লা জমে আছে।

কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় কানের ময়লা পরিস্কারের জন্য বিভিন্ন রেল-মেট্রো স্টেশনের চত্বরে কিছু লোক ঘুরে বেড়ায়। কাছে এসে বলে, কান পরিষ্কার করুন। অনেক ময়লা জমে আছে। পরিষ্কার না করলে ইনফেকশনও হতে পারে। অনেকেই খরচ জানতে চান, বলা হয় ২০-৪০ টাকা। এরপর কানের ময়লা পরিস্কার করার কাজ শুরু হয়। 

ছুঁচের মতো সরু ধাতুর তৈরি একটি জিনিসে তুলো জড়িয়ে কানে ঢুকিয়ে ময়লা পরিস্কার শুরু হয়। তারপর বিভিন্ন তরল দিয়েও কান পরিস্কার করা হয়। দিল্লিতে অভিযোগ, কান পরিস্কার করার সময় বলা হয়, কানে অনেক ময়লা জমে আছে। পরিস্কার না করলে অপারেশন করতে হবে। যদি বের হয়, তাহলে কানে যে ময়লার পিণ্ড জমে আছে, তার প্রতিটির জন্য ১০০ টাকা করে লাগবে। এরপর কান থেকে মটরদানার মতো ময়লা বের হয়। এবং যিনি পরিস্কার করাচ্ছেন, তাঁর কাছ থেকে ৩০০-৪০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।

দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় এধরণের ঘটনা ঘটছে। মানুষের কান পরিস্কারের নামে ভয় দেখানো এবং মিথ্যে ময়লা দেখিয়ে পয়সা আদায়। বহু অভিযোগ উঠছে বিষয়টিতে। অনেকেই জানিয়েছেন, আগে কানে কোনও সমস্যা ছিল না, কিন্তু কান পরিস্কার করানোর পর থেকেই কানে সমস্যা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন-শহরজুড়ে গলাব্যথা-কাশি-জ্বর, কতটা ভয়ের-কী করবেন? জানালেন বিশিষ্ট ডাক্তাররা

কলকাতাতেও ধর্মতলা চত্বর, শিয়ালদা স্টেশন চত্বরেও রমরমিয়ে চলে এই কান পরিস্কারের ব্যবসা। একই যন্ত্রপাতি কানে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। যা খুবই বিপজ্জনক। ইনফেকশন তো বটেই, হতে পারে গুরুতর সমস্যাও। এমনিতেই কানে কোনও ধাতব জিনিস ঢোকানো উচিত নয়। চিকিৎসকরা বলছেন, যার-তার কাছে কান পরিষ্কার করানো একেবারেই উচিত নয়। খোঁচা লেগে কানের পর্দাও ফেটে যেতে পারে। চিরতরে চলে যেতে পারে শ্রবণশক্তিও।

Advertisement

অনেকেই সেফটিপিন থেকে পাখির পালক, কটন বাড ব্যবহার করেন। আবার কেউ কেউ তো রাস্তার পাশে বসে পড়েন কান পরিষ্কার করার জন্য। কিন্তু একটা বিষয় অনেকেরই জানা নেই যে, এর সবক’টির ব্যবহারই ঝুঁকিপূর্ণ। কটন বাডকে তুলনামূলক ভাবে নিরাপদ ভাবা হলেও সেটা ঠিক নয়। এর থেকেও বিপদের সম্ভাবনা থাকে। হয়তো কয়েক দিন আগে খুলে রাখা প্যাকেট থেকে কটন বাড বের করে নিয়ে ব্যবহার করা হল। সেটা বেশ বিপজ্জনক৷ কারণ তাতে ধুলো থাকতে পারে। বাতাসের সংস্পর্শে এসে আর্দ্র হয়ে থাকলেও তা ঝুঁকির। কারণ, আর্দ্রতার কারণে প্যাকেট খুলে রাখা কটন বাডে ছত্রাক জন্মায়। তা থেকে কানে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে৷

সাধারণ ভাবে পরিষ্কার করার কোনও দরকার নেই। প্রাকৃতিকভাবেই শারীরিক কিছু প্রক্রিয়ায় কান আপনাআপনি পরিষ্কার হয়৷ নিয়মিত ভাবে কান পরিষ্কার করলে সেই প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বাধা তৈরি হয়।

আরও পড়ুন-'বসছি, কিন্তু লিখতে পারছি না,' প্রথমবার মুখ খুললেন আহত রুশদি

 

Advertisement