
ফের কলকাতায় উদ্ধার বান্ডিল বান্ডিল টাকা। এবার ঘটনাস্থল বালিগঞ্জ। কয়লা চোরাচালান মামলায় বুধবার কলকাতার বলিগঞ্জের ৫এ আর্লে স্ট্রিটে অবস্থিত গজরাজ গ্রুপের অফিসে অভিযান চালান ইডি কর্তারা। ওই গোষ্ঠীর ডিরেক্টর বিক্রম শিকারিয়াকে গ্রেফতার করেছে ইডি। অভিযানে এখনও পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর। ইডি সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এখনও টাকা গোনার কাজ চলছে। তদন্তে এই ব্যবসায়ীর নাম উঠে আসে। এই ব্যবসায়ী মধ্যস্থতাকারী ভূমিকায় ছিলেন বলে জানতে পেরেছে ইডি। তাঁর অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া অর্থ কয়লা চোরাচালানের বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়ও তদন্তে মনজিৎ সিং জিট্টা বলে আরও একজনের নাম উঠে এসেছে। তাঁর খোঁজও চালাচ্ছেন ইডি কর্তারা।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ৩ সদস্যের একটি দল আসে কলকাতায়। কয়লা কাণ্ডের সূত্র ধরে একাধিক দলে ভাগ হয়ে বুধবার শহরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান ইডি কর্তারা। বালিগঞ্জে ওই সংস্থার অফিসেও হানা দেয় ইডির তদন্তকারীরা। ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকেই বিপুল পরিমান টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ব্য়াগের মধ্যে তাড়া তাড়া নোট রাখা ছিল বলে খবর।
আত্মসমর্পণ রত্নেশ বর্মার
প্রসঙ্গত, আসানসোলের সিবিআই (CBI) আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে অনুপ মাজি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ রত্নেশ বর্মা। অভিযোগ, ইসিএলের খনি থেকে পাচার হওয়া কয়লা কোথায় যাবে, কোন গাড়ি কোন গন্তব্যে যাবে, তা পুরোটাই দেখত রত্নেশ। তাকে লাগাতর জেরা করে এই পাচারকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
আগেও উদ্ধার হয়েছে টাকা
উল্লেখ্য, এই ধরনের পাহাড় প্রমাণ নোটের উদ্ধার কিন্তু এই প্রথম দেখছেন না কলকাতা তথা রাজ্যবাসী। এর আগেও কলকাতা-সহ রাজ্যে একাধিক জায়গা থেকে বান্ডিল বান্ডিল নোটের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তারমধ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির সময় যে পরিমান টাকা উদ্ধার, তা রাতারাতি রাজ্যজুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হয় টাকা। আর তারপর থেকে বিভিন্ন ঘটনায় রাজ্যে টাকা উদ্ধার ঘটনা লাগাতার জারি রয়েছে।
আরও পড়ুন - রাজ্যে এবার 'দুয়ারে পিজি' কর্মসূচি, 'রেফার রোগ' কমবে?