ED Partha Chetterjee Arpita Mukherjee: রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সেই টাকা উদ্ধার করেছে বলে খবর। রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডে নিয়োগ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালায় ইডি। সেই অভিযান চালানোর সময় নগদ উদ্ধার করা হয়েছিল।
ইডির অভিযান
প্রসঙ্গত, অর্পিতা ছাড়াও ইডি বর্তমানে আরও অনেক জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, অলোককুমার সরকার, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো নামও এই তালিকায় রয়েছে। এ রাজ্য়ে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এই সমস্ত সংযোগই সামনে এসেছে।
ED is carrying out search operations at various premises linked to recruitment scam in the West Bengal School Service Commission and West Bengal Primary Education Board. pic.twitter.com/i4dP2SAeGG
— ED (@dir_ed) July 22, 2022
তবে সবচেয়ে বড় অভিযান হয়েছে অর্পিতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের বাড়িতে পাওয়া গেছে ২০ কোটি টাকা। অভিযানে তার বাড়ি থেকে ২০টি ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। অর্পিতা সেই ফোনগুলির মাধ্যমে কী করতেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ইডি তাঁকে তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
একই সঙ্গে নোটের পরিমাণ এত বেশি হওয়ায় টাকা গুনতে ডাকা হয়েছে ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের। নোট কাউন্টিং মেশিনও এসেছে। এই মুহূর্তে তার বাড়িতে নোট গণনা চলছে, তাই মোট অঙ্ক আরও বেশি হতে পারে।
কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা অভিযানে ইডি ২০ কোটি টাকার নগদ উদ্ধার করেছে। এই অভিযানের যে ছবি সামনে এসেছে তাতে নোটের বিশাল পাহাড় দেখা যাচ্ছে।
ইডি রাজ্যে শিক্ষা নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্ত শুরু করেছে। ইডি অর্পিতার বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণ পেয়েছে বলে খবর। তার পর তাঁর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার অভিযানে নোটের স্তূপ সামনে এসেছে। এখনও তার বাড়িতে তদন্তকারী সংস্থা উপস্থিত রয়েছে।
পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদ
আরও তথ্যও পাওয়া গেছে যে ইডি-র একটি দল গত ১১ ঘন্টা ধরে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে উপস্থিত রয়েছে। তাঁর বাড়ি থেকে কী পাওয়া গেছে, কী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছুই জানায়নি ইডি। তবে তদন্তের রাউন্ড চলছে।
ইডি টিমকেও অন্যান্য জায়গায় অ্যাকশনে দেখা যাচ্ছে। ইডি-র হাতে অনেক নথিও পাওয়া গেছে, জাল কোম্পানির কাগজপত্র পাওয়া গেছে এবং বিদেশি মুদ্রাও বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে খবর। বাংলার রাজনীতিতে শিক্ষা কেলেঙ্কারি হইচই ফেলে দিয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের আদেশের পর এই পুরো কাজ শুরু হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট শিক্ষা নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর সেই বিষয়টি নিয়ে নেয় সিবিআই। কিন্তু তদন্তের সময় মানি লন্ডারিংয়ের একটি মামলাও তৈরি হওয়ায় ইডিও তদন্তে নামে।