ভয়াবহ দুর্ঘটনা সল্টলেকের রাস্তায়। পুরোপুরি উল্টে গেল একটি চার চাকার গাড়ি। আর তাতেই প্রাণ গেল এক যুবকের। এই পথদুর্ঘটনায় আরও তিন জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সোমবার রাত সাড়ে দশ’টা নাগাদ সল্টলেক সেক্টর ফাইভে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। দ্রুতগতির বলি হতে হয় যুবককে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টেকনোপলিসের দিক থেকে একটি চারচাকার গড়ি দ্রুত গতিতে আসার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। দুর্ঘটনা ঘটতে দেখেই আশেপাশের লোকেরা ছুটে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স থানার পুলিশও। দুর্ঘটনায় আহত চারজনকে প্রথমে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। আহতদের মধ্যে দুজন বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রাজবীর সিং কোহলি। তিনি ভবানীপুরের বাসিন্দা। আহতদের নাম ওম সাহা, অংশ আগরওয়াল, দরেশ সবির। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অত্যাধিক গতির জেরেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে টেকনোপলিসের দিক থেকে চিংড়িহাটার দিকে দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল গাড়িটি। এরপর নিউটাউন বক্স ব্রিজের কাছে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। গাড়িটি রাস্তার এক লেন থেকে আর এক লেনে চলে যায়। নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পেরে গাড়িটি রাস্তার উপরেই উলটে যায়। গড়ির সামনের আসনে বসেছিলেন রাজবীর সিং কোহলিই। চালকের আসনে ছিলেন তাঁরই সঙ্গী তানিশ। এছাড়াও পিছনের আসনে আরও তিনজন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন প্রত্যেকে। খবর যায় বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স থানায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটি রাস্তায় উলটে যাওয়ার পর গুরুতর আহত হন রাজীব। গাড়ি থেকে কোনওরকমে বেরিয়ে বাকি বন্ধুরা রাজীবকে শুশ্রূষা করার চেষ্টা করেন। অন্যরা চোট পেলেও রাজীবের আঘাতই ছিল সবচেয়ে গুরুতর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তাঁর। রাস্তার উপরেই কৃত্রিম উপায়ে তাঁর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন সহযাত্রীরা। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে আহতদের বিধাননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা কর হয়। ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল সে ব্যাপারে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।