বিকিন পরে ইনস্টাগ্রামে ছবি দেওয়ায় চাকরি গিয়েছিল অধ্যাপকের? এমনই অভিযোগ করলেন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন অধ্যাপক। তাঁর দাবি, তিনি বিকিনি পরে একাধিক ছবি পোস্ট করেছিলেন ইনস্টাগ্রামে। এক অভিভাবক কলেজ কর্তৃপক্ষকে নালিশ জানান, সেই নালিশের পরিপ্রেক্ষিতেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে।
ঠিক কী অভিযোগ ছিল ওই অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে?
এক অভিভাবক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নালিশ জানান, অধ্যাপিকা বিকিনি পরে যে সব ছবি দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে, সেই ছবিগুলিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছেলে অনেক ক্ষণ ধরে দেখছিল। মায়ের চোখে পড়ে যায়। মা-বাবা দুজনেই ওই অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ জানান।
আরও পড়ুন: NEET 2022 Cut-Off: NEET-এ কত নম্বর থাকলে সরকারি কলেজে ভর্তি? জানুন সম্ভাব্য কাট-অফ
ইন্ডিয়া টুডে-কে কলকাতা সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপিকা জানান, ফার্স্ট ইয়ারের এক ছাত্রের অভিভাবকের থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে তাঁকে চূড়ান্ত ধমক দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই চিঠিতে সংশ্লিষ্ট অভিভাবক, 'নগ্নতা ও যৌনতা ছড়ানো,'দৃশ্যদূষণ' ইত্যাদি শব্দবন্ধগুলি ব্যবহার করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই অভিযোগ পত্রটি ভাইরাল হয়েছে।
কী লেখা রয়েছে চিঠিতে?
ভাইরাল হওয়া ওই চিঠির বয়ান হল, 'সম্প্রতি আমার ছেলেকে দেখলাম, অধ্যাপিকার ছবি বারবার দেখছে। ছবিতে যৌন উত্তেজনামূলক পোশাক পরে রয়েছেন অধ্যাপিকা। শিক্ষিকার অন্তর্বাস পরা ছবি ছেলে দেখছে, বাবা হিসেবে আমার কাছে ভীষণ লজ্জার এই দৃশ্য।'
গত বছর ৭ অক্টোবর সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও অন্যান্যরা একটি মিটিং করেন। ইনস্টাগ্রামের ছবি সহ ওই চিঠিটি দেখানো হয় অধ্যাপিকাকে। এরপরেই তাঁকে চাকরিতে ইস্তফা দেওয়ার চাপ সৃষ্টি করা হতে থাকে। গত ২৪ অক্টোবর ২০২১-এ ওই অধ্যাপিকা পুলিশে অভিযোগ জানান, তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে থাকতে পারে। কারণ তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল প্রাইভেট মোডে রয়েছে, কোনও ছবি-ই বাইরের কারও পক্ষে দেখা সম্ভব নয়।
যদিও সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন বলেই দাবি তাঁদের।