গরমের চোখরাঙানি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে। রোদের ঝাঁঝে রাস্তায় বেরোনো প্রায় দুঃস্বপ্ন কলকাতাবাসীর। কিন্তু কর্মরতদের তো উপায় নেই। পিচগলা রোদেও বেরোতে হবে। এসময় খাওয়ার ইচ্ছেও চলে যায়। চাহিদা বাড়ে বিভিন্ন পানীয় ও ফলের। তাই সেই চাহিদাকে আস্কারা দিতে শহরজুড়ে বিক্রি হচ্ছে জামরুল, পেয়ারা, তরমুজ-সহ একাধিক জলযুক্ত ফল। কিন্ত এসবের মধ্যে চাহিদা তুঙ্গে কাঁচা–মিঠে আমের (Green Mango)।
হাতিবাগান, পার্কস্ট্রিট থেকে গড়িয়াহাট, শহরের কোথায় নেই! আম কেটে তাতে একটু বিটনুন, কেউ চাইলে একটু লঙ্কার গুঁড়ো মাখিয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। বহু মানুষ কিনে খাচ্ছেন কচকচে সেই টক–মিষ্টি আম।
শিয়ালদহের কাঁচা আম (Green Mango) বিক্রেতারাজানালেন, কাঁচা মিঠা জাতের এই আম কাঁচা অবস্থাতেই মিষ্টি হয়। তাই এর নাম কাঁচা মিঠে। পাকলে এই আম পানসে হয়ে যাবে। কচকচে মিষ্টি আর হালকা টক স্বাদের এই আমের বেশিরভাগই আসছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন বাগান থেকে। দাম ১০০ থেকে ১২০টাকা কেজি। বড় আম কেটে নুন মাখিয়ে ১৫-২০ টাকা দাম। ছোট আমের দাম ১০-১৫ টাকা।
কলেজস্ট্রিটের এক কাঁচা আম বিক্রেতা জানালেন, তিনি আম কিনেছেন বসিরহাট থেকে। বাজারে আসার পর মাত্র দু’মাস কাঁচা আম বিক্রি হয়। এ বছর কাঁচা আমের দাম একটু বেশি। কারণ এবছর কালবৈশাখীর দেখা নেই। ঝড় হলে বহু আম ঝড়ে পড়ে। সেই আম কম দামে বাজারে আসে। কিন্ত যেহেতু তা হয়নি, তাই চাহিদা মেটাতে চড়া দামেই আম কিনতে হচ্ছে তাঁদের। তাই দাম একটু বেশি রাখা হয়েছে।
পনেরো টাকার একটি আম খেয়ে স্বাদ বুঝে আরও একটি আম কাটিয়ে ব্যাগে ঢুকিয়ে এক ক্রেতা জানালেন, গরমে টক বেশি করে খেতে হয়। শরীর ঠাণ্ডা থাকে। এই আম কাঁচা খাওয়াটা বেশ মজার। সেইসঙ্গে ভিটামিন সি রয়েছে কাঁচা আমে।
কলকাতার বিভিন্ন জায়গার লস্যি, লেবুজলকে টেক্কা দিচ্ছে কাঁচা আম। আম খেয়ে বাড়ির জন্যও নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। কাগজে মুড়ে দেওয়া হচ্ছে নুন। অল্পবয়সীদের পাশাপাশি বয়স্করাও কাঁচা আম কিনে খাচ্ছেন। অল্প লঙ্কাগুঁড়ো মেশানো নুন আর হালকা টক আমে কামড় পড়তেই অদ্ভুত অনুভুতি ছড়িয়ে পড়ছে শরীরে।
আরও পড়ুন-সামনের মাসেই মাধ্যমিকের রেজাল্ট, জানুন সম্ভাব্য দিন