নিয়োগ দুর্নীতিতে (recruitment scam) সদ্য নাম জড়ানো হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের (Haimanti Ganguly) এখনও খোঁজ নেই। হৈমন্তী ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে ক্রমেই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার পর থেকেই হাওড়ার উত্তর বাকসাড়ার বাড়িতে দেখা যায়নি পরিবারের সদস্যদের। পাত্তা নেই তাঁর প্রাক্তন স্বামী গোপাল দলপতিরও (Gopal Dalapati)। কোথায় গেলেন হৈমন্তী? প্রতিবেশীদের কাছেও তা স্পষ্ট নয়।
এসবেরই মধ্যেই দেশের অন্তত ১১টি রাজ্যে থাকা ১০৪টি সংস্থা এবার সিবিআইয়ের নজরে। যদিও ওই ১০৪টি সংস্থার মধ্যে বেশিরভাগই এই রাজ্যের। সংস্থাগুলিতে অন্তত ৩০ কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে বলে খবর পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সংস্থাগুলির উপর নজর রাখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। ফলে কতগুলি সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
নিয়োগ দুর্নীতি যোগে গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের তদন্ত করতে গিয়েই সন্ধান মেলে কয়েকটি সংস্থার। কলকাতার আগেও হৈমন্তী যে বেঙ্গালুরুতে একটি সংস্থার অধিকর্তা ছিলেন, তার প্রমাণ মেলে। অভিযোগ, হৈমন্তীর সংস্থাগুলির মাধ্যমেই টাকা পাচার করতেন গোপাল।
মধ্যপ্রদেশের বণিকসভার নেটওয়ার্কে ৫৮টি বেসরকারি সংস্থার সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে এই রাজ্যে রয়েছে ৪৬টি। এছাড়াও কর্ণাটক, ওড়িশা, হিমাচলপ্রদেশ, বিহারে রয়েছে একটি করে সংস্থা। চারটি করে সংস্থা রয়েছে মধ্যপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে। ওই ৫৮টি সংস্থায় লগ্নি হয়েছে প্রায় দশ কোটি টাকা। কলকাতায় যে বণিকসভার সন্ধান মিলেছে, তার নেটওয়ার্কে রয়েছে ৪৬টি বেসরকারি সংস্থা।
আরও পড়ুন-বউবাজারে আবার বাড়িতে ফাটলের আশঙ্কা