scorecardresearch
 

অনুব্রতর রক্ষাকবচ খারিজ হাইকোর্টের, তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে

শুক্রবার অনুব্রত মন্ডলের আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত মনে করছে, তদন্তের প্রাথমিক স্তরে কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ নয়। এ ছাড়াও রক্ষাকবচ চেয়ে অনুব্রত-র যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় বলেও পর্যবেক্ষণ বিচারপতির।

Advertisement
ফের বিপাকে অনুব্রত মণ্ডল ফের বিপাকে অনুব্রত মণ্ডল
হাইলাইটস
  • অনুব্রতর রক্ষাকবচ খারিজ হাইকোর্টের
  • তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে
  • অসুস্থ হলে মেডিক্যাল বোর্ড করে তদন্ত করুক সিবিআই

বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের রক্ষা কবচের আবেদন নাকচ হয়ে গেল হাইকোর্টে। শুক্রবার অনুব্রত মন্ডলের আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত মনে করছে, তদন্তের প্রাথমিক স্তরে কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ নয়। এ ছাড়াও রক্ষাকবচ চেয়ে অনুব্রত-র যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় বলেও পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতা বলে সুবিধা নিতে চাইলে তা মানা হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে কোর্ট।

একের পর এক মামলায় নোটিশ পেয়েও গরহাজির অনুব্রত

গরুপাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল সিবিআই এর হাজিরা এড়িয়ে যেতে অসুস্থ বলে জানান। এরপর আদালতে আবেদন করেন। রক্ষা কবচ চেয়ে ওই আবেদনের শুনানি ছিল শুক্রবার ১১ মার্চ।

অনুব্রত মন্ডলের পক্ষে আইনজীবী কিশোর দত্ত এবং সন্দীপ গাঙ্গুলি জানান, কেন সিবিআই নোটিশ নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁদের মক্কেল অসুস্থ বলেও তাঁরা দাবি করেন। এর জবাবে বিচারপতি রাজাশেখর মন্থা জানান সিবিআই পক্ষ থেকে অনুব্রত মন্ডলের শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করে দেখা উচিত আদতে ওনার কি কি সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁরা এ প্রশ্নও তোলেন, অনুব্রত কলকাতায় আসছেন, অথচ সিবিআই তলবে হাজিরা দিচ্ছেন না। পাশাপাশি অনুব্রত মন্ডল নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়াতে এক্টিভ রয়েছেন। সেখানে ভিডিও আপলোড করছেন। একজন অসুস্থ মানুষ কীভাবে করতে পারেন? প্রশ্ন সিবিআইয়ের আইনজীবীর। কোনওটারই সদুত্তর মেলেনি আইনজীবীদের তরফে।

অনুব্রতকে পাঠানো সিবিআইয়ের নোটিশ উবাচ

অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই প্রথম নোটিশ পাঠায় ১৯ জানুয়ারি ২০২১ এ। শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং করোনা পরিস্থিতির জন্য হাজিরায় অপারগ বলে জানান তিনি। এরপর ওই বছরই ২৪ এপ্রিল ফের তলব করা হয়। দ্বিতীয় নোটিশ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নোটিশ দেওয়া হলে এই মামলায় রক্ষাকবচ দেয় হাইকোর্ট। এর পরে তাকে আর নোটিশ দেওয়া হয়নি। ২ ফেব্রুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর পরেও ফের নোটিশ দেয় সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারিতে। ১৮ই ফেব্রুয়ারিতে কয়লা পাচার নোটিশ দেয় সিবিআই। ৪ঠা মার্চ ফের নিজাম প্যালেসে আসার জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই। বারবারই অসুস্থতার দোহাই দিয়ে তিনি গরহাজির থাকেন।

Advertisement

বিচারপতিদের যুক্তি 

সিবিআই নতুন কোনও মামলায় তলব করলে সে ক্ষেত্রে ভাবা যেত কিন্তু ২০১৯ সালের একটি পুরোনো মামলায় তাঁকে ডাকা হচ্ছে। তিনি কলকাতায় আসেন, অন্য ক্ষেত্রে সক্রিয় থাকেন, শুধু হাজিরার বেলায় অসুস্থ থাকেন, এটা হয় না। পাশাপাশি বিচারপতির প্রশ্ন এই ঘটনায় অনুব্রত মন্ডল মূল অভিযুক্ত নয়। তাহলে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে সমস্যা কোথায়? আর যদি গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে আগাম জামিন কেন নিচ্ছেন না তিনি? এরপরেই সিবিআই এর গ্রেফতার থেকে রক্ষাকবচ চেয়ে অনুব্রত মণ্ডলের করা আবেদন খারিজ করে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মন্থা।

 

Advertisement