কয়েকদিন আগের কথা। ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্রবাজার মৎস্য আড়তে পৌঁছে যায় প্রায় ১১০ টন ইলিশ। আর তা ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যজুড়ে। সেই ইলিশ বিক্রিও হয়েছে হু হু করে। তবে সেই ইলিশ কিনে বাড়ি ফিরলেও খেয়ে স্বাদ মেটেনি বাঙালির। তার কারণও আছে।
কারণ, রাজ্যের বাজারে যে রুপোলি শস্য এসে পৌঁছেছে তার বেশিরভাগই হল খোকা ইলিশ। বড় ইলিশ ছিল ঠিকই। তবে তা খুবই কম। মৎস্যজীবীদের কথায়, হাতে গোণা কয়েকটি বড় ইলিশ ধরা পড়েছিল জালে।
আর এখানেই প্রমাদ গুণতে শুরু করেছেন মৎস্যজীবীরা। তাঁরা বলছেন, খোকা ইলিশ এভাবে ফুরিয়ে যেতে শুরু করলে বড় ইলিশের আকাল দেখা যেতে পারে। এমনিতেই বিগত কয়েক বছর ধরে বাজারে বড় ইলিশের সংখ্যা কমেছে। তার উপর এত সংখ্যক খোকা ইলিশ উঠলে একটা সময় হয়তো বড় ইলিশের স্বাদই ভুলে যাবে বাঙালি।
আরও পড়ুন : New Wage Code-এ বড়সড় বদল, হাতে পাবেন কম বেতন!
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, ৫০০ গ্রামের নিচের ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে রাজ্য সরকারের। তবে সেই নিয়মকে অনেকেই তোয়াক্কা করছেন না বলে অভিযোগ। অনেক মৎস্যজীবীই নাকি ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ধরে বাজারে বিক্রি করছেন।
এ রাজ্যের মৎস্য দফতর সূত্রে পাওয়া খবর, এমনিতেই ইলিশের উৎপাদন প্রায় ৬৫ শতাংশ কমেছে। নামখানা, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ডহারবার, দীঘা উপকূলে গতবার ইলিশ এমনিতেই কম উঠেছিল। আর এভাবে যদি খোকা ইলিশ উঠতে শুরু করে তাহলে বাজারে ইলিশ আসা প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে।
এই প্রসঙ্গে কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির এক সদস্য বলেন, 'এভাবে খোকা ইলিশ বাজারে চলে এলে আর মিলবে না বড় ইলিশ। এমনিতেই গত কয়েক বছরে খোকা ইলিশ বেশি পরিমাণে বাজারে এসেছে। ফলে বড় ইলিশ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার সময়ের আগেই ইলিশ হারিয়ে যাচ্ছে সমুদ্র থেকে।'