হাওড়ার হিংসা নিয়ে শুক্রবার কড়া বিবৃতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। জানিয়েছিলেন, বিশেষ সেল গঠন করে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। রবিবার একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশাসনকে কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দিলেন রাজ্যপাল। তাঁর বার্তা, নির্ভয়ে ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে হবে পুলিশকে। মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাম নবমীকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় হাওড়ার শিবপুর। একের পর এক গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিবৃতি জারি করে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন,যারা হিংসা ছড়িয়েছে তারা ভাবছে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। কিন্তু ওরা মুর্খের স্বর্গে বাস করছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি পথে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাম নবমীর দিন সাধারণ মানুষের সম্পত্তিতে আগুন অত্যন্ত প্ররোচনামূলক। ধর্মরক্ষায় হনুমান লঙ্কায় আগুন দিয়েছিলেন। কিন্তু যারা অধর্মের জন্য আগুন লাগিয়েছে তাদের পস্তাতে হবে। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মোকাবিলায় বাংলা একজোট।'
এরপর বাংলার একটি সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল বলেন,'নির্ভয়ে, নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে পুলিশকে। দায়বদ্ধ হতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ করতে হবে পুলিশ। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। তার অন্যথা করা যাবে না।'
আরও পড়ুন- মমতা-রাজ্যপাল কথা, হনুমানের কথা স্মরণ করিয়ে কড়া বার্তা সিভি আনন্দ বোসের
ওই দিন স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিল রাজভবন। সেই সঙ্গে বিশেষ সেলও গঠন করেছিলেন রাজ্যপাল। পুলিশের উপর আস্থা নেই বলেই কি এই সিদ্ধান্ত? তিনি বলেন,'যে কোনও প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের নজরদারির প্রক্রিয়া থাকে। সত্য খুঁজে বার করার নানা পথ রয়েছে। রাজ্য সরকার এবং শীর্ষ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে ছিলেন। রাজভবনের তরফে রিপোর্টের সত্যাসত্য বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য নতুন সেল তৈরি করা হয়েছে।'
হাওড়ার ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,'বাংলাকে অশান্ত করার পরিকল্পনা বিজেপির। বাংলা অশান্ত হলে দেশও অশান্ত হবে। ওরা পরিকল্পনা করে হামলা করেছে। বিজেপি বিরোধীদের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছে না। ওরা হিংসা ছড়াতে চাইছে। তার পর এনআইএ,কেন্দ্রীয় দলকে ডাকবে। আদালতে যাবে। এটাই ওদের পরিকল্পনা। দেশের একশো জায়গায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে চাইছে। আমরা এটা করতে দিইনি। অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমি শোভাযাত্রা করতে দিইনি। রিভলভার, পেট্রল বম্ব নিয়ে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা করেছে ওরা। রমজান মাসে উস্কানি দেব। তার পর চ্যানেলকে বলব দেখো কী হচ্ছে!'