India-Afghanistan: আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে চলে গিয়েছে। আর অনেকে যা আশঙ্কা করেছিলেন তা-ই হচ্ছে। শুরু হয়ে গিয়েছে তালিবানি অত্যাচার। মেয়েদের লেখাপড়ায় লাগাম পড়ছে। সেইসঙ্গে হাজারো বিধিনিষেধের জাল।
বন্ধুত্ব অটুট
আফগানিস্তানে এখন অস্ত্রের ঝনঝনানি। তবে অস্ত্রের দাপাদাপি ভারত-আফগান বন্ধুত্বকে ভাঙতে পারেনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চোখে আমরা দেখেছি, কাবুলিওয়ালা মিনির চোখে খুঁজেছে নিজের মেয়ের ঠিকানা। এই আত্মীয়তা চিরকালের। সেই সম্পর্কে আরও একটু উষ্ণতার পরশ দেওয়ার জন্য কলকাতায় হবে ক্রিকেট ম্যাচ। অংশ নেবেন কাবুলিওয়ালা এবং কলকাতার একদল যুবক।
নেই দ্বেষ
এই বন্ধুত্বের মাঝে কোনও দেশের কাঁটাতারের বেড়াজাল নেই। নেই কোনও দেশের দর-কষাকষি! স্নেহের বাঁধনে, ভালবাসার আকর্ষণে, নিখাদ দোস্তির সফরে বার বার ভারত আর আফগানিস্তানের হৃদয় স্পন্দিত হয়েছে একই ছন্দে। আফগানিস্তানের কালো দিনে কাবুলিওয়ালার দল লড়ে যাও! আমরা আছি তোমাদের সঙ্গে।
এবার মাঠে
দুঃখের দিনে বন্ধুত্বের কসম খেয়ে ক্রিজে টিকে থাকাটাই তো শেষ কথা। রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর আমরা একসঙ্গে বাইশ গজে কাঁধে কাঁধ মেলানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এভাবেই জীবনের স্কোরবোর্ডে আমাদের অপ্রতিরোধ্য পার্টনারশিপে ইতিহাস লেখা হোক।
সৌভ্রাতৃত্বের এক অনবদ্য বার্তা ঢাকুরিয়া তরুণ মহলের পক্ষ থেকে কাবুলিওয়ালাদের সঙ্গে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার এই প্রদর্শনী ম্যাচের মাধ্যমে সুদূর আফগানিস্তানের মাটিতে থাকা মানুষদের প্রতি শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে ঢাকুরিয়া স্টেশন পল্লীর মাঠ থেকে।
মন ভাল নেই ওঁদের
জন্মভূমি অস্থির। কয়েক হাজার মাইল দূরে বসে থাকলেও মন ভাল নেই ওঁদের। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল নয়। ফোন করা দায়। তাই আশঙ্কা আর উদ্বেগে দিন কাটছে। মনেপ্রাণে একটা জিনিসই চাইছেন। তা হল শান্ত হোক জন্মভূমি। শান্তি ফিরুক দ্রুত।
কলকাতার কাবুলিওয়ালা
ওঁরা মানে সবাই যাঁদের চেনেন কাবুলিওয়ালা নামে। কলকাতার সঙ্গে তাঁদের আত্মিক যোগযোগ যেন। জন্মভূমি আফগানিস্তান ছেড়ে এখানে ঠাঁই নিয়েছেন অনেকদিন আগে। আর তারপর থেকে এই শহর তাঁদের হয়ে গিয়েছে।
কলকাতায় হাজার দেড়েক আফগান থাকেন। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবাস তাঁদের। ধর্মতলা, বড়বাজার, দমদম, কাশীপুরের মতো এলাকায় থাকেন তাঁরা।