আজ থেকে ৫০ বছর আগেই পাকিস্তানি সেনার গুলিতে জীবন সমাপ্ত হয়ে যেত বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর। শেখ হাসিনার প্রাণ বাঁচিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনার দল। ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ইস্ট ২০২১-এর মঞ্চে সেই কথা তুলে ধরলেন বাংলাদেশএর মুক্তিযোদ্ধা লেঃ কর্নেল সাজ্জাদ জহির । পাকিস্তানের সেনা মুজিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারকে প্রাণে মারার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিল তাঁরা। আর সেই খবর পেয়ে ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে পৌঁছায় ভারতীয় সেনারা। সেদিন পাকিস্তানি সেনার বুলেট থেকে শেখ হাসিনা সহ আরও ৩ জনকে উদ্ধার করে তাঁরা। ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ইস্ট ২০২১-এর মঞ্চে সেই কথা জানালেন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্তা।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীকে চূর্ণ করে পর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীনতার স্বাদ দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই জয়ের গর্বের পঞ্চাশ বছর এবার পর্ণ হতে চলেছে। তবে আজকের প্রজন্ম সেদিন সেনার সেই আত্মত্যাগ দেখেনি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে একাত্ম হতে হবে আধুনিক প্রজন্মকে এমনটাই মনে করছেন দুই দেশের প্রাক্তন সেনাকর্তারাই। ইন্ডিয়া টুডের আলোচনা মঞ্চে প্রাক্তন সেনা প্রধান শঙ্কর রায়চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী ও মিত্রবাহিনীরর মধ্যে কৌশলগত সংস্কারের উজ্জ্বল উদাহরণ। একাত্তরের যুদ্ধের ফলাফল ছিল একটি স্পষ্ট বিজয়। সুতরাং এটি মনে রাখা উচিত। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ও পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত লেঃ কর্নেল সাজ্জাদ জহির বলেন যে , তাঁকে যুদ্ধের সময় পাকিস্তান যে মৃত্যদণ্ড দিয়েছিলেন তা প্রত্যাহার করেননি বলে তিনি খুশি। তাঁর কথায়, 'একাত্তরে পাকিস্তান আমাকে মৃত্যুদণ্ডের পুরষ্কার দিয়েছে। আমি খুশি যে তারা তা ফিরিয়ে নিল না। শকরগড়ের যুদ্ধে পাকিস্তানকে ভারতীয় সেনাবাহিনী চূর্ণ করেছিল। এই সময়ে, আমার পরিবারের কিছু সদস্যকে পালাতে হয়েছিল। কিছু লোক মারা গিয়েছিল। একাত্তরের যুদ্ধে ভারত আমাদের অনেক সাহায্য করেছিল। শে
৭১-এর যুদ্ধ ভারত বাংলাদেশের মধ্যে এক নতুন মৈত্রী বন্ধন স্থাপন করেছিল। দুই দেশের সেই বন্ধুত্ব এগিয়ে নিয়ে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনাও। চলতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের অনুষ্ঠানে তাই হাজির থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই মৈত্রীগাথা দুই দেশের এগিয়ে চলার পথে আগামী দিনে আরও দৃড় হবে এমনটাই আশা প্রাক্তন সেনা কর্তাদের।