গত বৃহস্পতিবার আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীকে জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট। শুক্রবার গোটা দিন কেটে গেলেও জেলমুক্তি হয়নি তাঁর। দু'দিন পরে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে মুক্তি পেলেন নওশাদ। ঘটনাচক্রে, এ দিনই একাধিক ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা কৌস্তুভ বাগচীকে। কৌস্তুভের পাশে দাঁড়িয়েছেন নওশাদ। তাঁর কথায়,'কৌস্তুভের পাশে আছি। লড়াই চলবে।'
শনিবার সকালে আইএসএফ বিধায়ক সংশোধনাগারের বাইরে বেরোতেই কর্মী-সমর্থকরা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এ দিন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে বেরোনোর সময় নওশাদ বলেন,'শাসকদলের নোংরামি ধরে ফেলেছে বাংলার মানুষ। সাগরদিঘির ফল বুঝিয়ে দিচ্ছে, মানুষ উত্তর দিতেও শুরু করেছে। মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তর দিচ্ছে। আগামী দিনে পঞ্চায়েত ভোটে এর থেকে আরও ভাল ফল হবে।'
শনিবার নওশাদের জেলমুক্তির দিনই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার হয়েছেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচী। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর বারাকপুরের বাড়িতে যায় পুলিশ। শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও কৌস্তুভ বলেন,'মাতৃসম মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়ে পুত্রসম কৌস্তুভকে গ্রেফতার করিয়েছেন।' কৌস্তুভের গ্রেফতারি নিয়ে নওশাদ জানান,'আমি জানি না কেন কৌস্তুভকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাঁর সঙ্গে যদি অন্যায় হয়ে থাকে, তা হলে আমি তাঁর পাশে আছি। তাঁর জন্য আমি গলা ফাটাব।'
গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলা থেকে নওশাদকে গ্রেফতার করে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। তার পর একের পর এক মামলায় ৪০ দিন ধরে জেলে ছিলেন নওশাদ। জেলবন্দি ছিলেন আইএসএফের অন্যান্য নেতা-কর্মীরাও। বৃহস্পতিবার নওশাদ-সহ আইএসএফ কর্মীদের নিঃশর্ত জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ । ২ তারিখ জামিন পেলেও জেল থেকে মুক্তি পাননি নওশাদরা। জামিন পাওয়ার পরেও শুক্রবার জেলেই থাকতে হয়েছিল। জেল সুপার দেবাশিস ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন,'আদালত থেকে কাগজ জেলে এসে পৌঁছায়নি।'
আরও পড়ুন- গ্রেফতার কৌস্তব বাগচী, ভোররাতে বাড়িতে পুলিশি হানা