আজ প্রয়াত বিশিষ্ট আর্যুবেদ (Ayurveda) চিকিৎসক যামিনীভূষণ রায় (J B Roy)-এর জন্মদিবস। সবার কাছে তিনি জে বি রায় নামে বেশি পরিচিত। বাংলার আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে তিনি অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে অনেকেই ভুলতে বসেছেন তাঁর নাম।
আয়ুর্বেদ (Ayurveda) চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যামিনীভূষণ রায় (J B Roy) না থাকলে হয়তো দেশে এই চিকিৎসা ব্যবস্থাই উঠে যেত। আর তিনিই চলে গিয়েছেন অন্তরালে। তাঁর দেখানো পথে চলতে হবে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের মান আরও উন্নত করতে হবে।
এমবিবিএস পড়ার আয়ুর্বেদ নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল যামিনীভূষণ রায় (J B Roy)-এর। তবে তখন এমবিবিএস পরিচিত ছিল অন্য নামে। তৈরি করেছেন দেশের প্রথম আর্য়ুবেদ (Ayurveda) কলেজ। ১০০ বছর আগে তিনি ফি নিতেন ৫০০ টাকা।
তবে দুঃস্থদের জন্য টাকা লাগত না। এমনই মানুষের জন্মদিবস কিছুটা যেন চুপিসাড়েই চলে গেল। যামিনীভূষণ রায় (J B Roy)-এর জন্মদিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি টুইটে লিখেছেন, আয়ুর্বেদ (Ayurveda) চিকিৎসক, সংস্কৃত পণ্ডিত কবিরাজ যামিনীভূষণ রায়কে তাঁর জন্মদিবসে শ্রদ্ধা জানাই।
I pay homage to well known Indian Ayurvedic Physician, an erudite Sanskrit scholar & founder of JBROY State Ayurveda Medical College; Kabiraj Jamini Bhushan Ray on his 142nd Birth Anniversary.#Ayurvedicphysician #Ayurveda@moayush pic.twitter.com/jn9BUPwPDh
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) July 1, 2021
১৮৭৯ সালের ১ জুলাই বাংলাদেশের খুলনার পয়োগ্রামে জন্ম যামিনীভূষণ রায় (J B Roy)-এর। বাবা বিশিষ্ট কবিরাজ পঞ্চানন রায়। ১৯০৫ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবি (ব্য়াচেলর অফ মেডিসিন), তারপর এমআরএএস-এ প্রথম স্থান পান।
তবে ঠিক করেন আয়ুর্বেদ নিয়েই এগোবেন। বিখ্যাত চিকিৎসক মহামহোপাধ্য়ায় কবিরাজ রিজয়রত্ন সেনের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে শুরু করেন। অনেক মানা করেছিলেন তাঁকে। পরামর্শ দিয়েছিলেন, পশ্চিমী চিকিৎসায় উপার্জনের সুযোগ অনেক বেশি। তবে সে কথা না শুনেই নিজের পথ ধরেছিলেন। ব্যর্থ হননি। ইতিহাস তা-ই বলছে।
জে বি রায়ের কৃতিত্বের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন বঙ্গীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সঙ্ঘের সভাপতি তুষার মন্ডল। তিনি বলেন, দেশের প্রথম আয়ুর্বেদিক কলেজ তাঁর হাতেই তৈরি। সেটি তৈরি করতে তখন প্রায় ২ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন।
তিনি জানান, ব্রিটিশরা যখন মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করছে, কলকাতায় তখন তিনি গড়ে তুলতে পেরেছিলেন আয়ুর্বেদ নিয়ে লেখাপড়ার প্রতিষ্ঠান। এটি না থাকলে আয়ুর্বেদ নিয়ে পড়াশোনাই করা যেত না।
তুষার মন্ডল বলেন, জে বি রায় আয়ুর্বেদ মেডিক্যাল কলেজের উন্নতি দরকার। এমডি, পিএইচডি চালু করা দরকার। এখান থেকে লেখাপড়া শিখে চাকরির ক্ষেত্রে আরও প্রসারিত হয়, সরকারের দেখা দরকার। প্রচুর খালি পদ রয়েছে। সেগুলো পূরণের আর্জি জানাব। উত্তরবঙ্গে আয়ুর্বেদের কোনও কলেজ নেই। তা চালু করলে ভাল হয়।