কিছুদিন আগেই লেক গার্ডেনসে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি ভাঙা শুরু হয়েছে। এবার ভাঙা হবে আরও এক কিংবদন্তী শিল্পীর বাড়ি। জানা যায়, বাঁশদ্রোণীর সূর্যনগরের আদি গঙ্গার পাড়ে বাড়ি কানন দেবীর। সেই বাড়িটির আশপাশে এখনও বর্ষার পর মাথা তোলে বনফুল। এফএম চ্যানেলে যখন ‘আমি বনফুল গো...’ আচমকা সুর ছড়ায়, তখন কানন দেবী গানের মতো আচমকাই আচ্ছন্ন করে দেন স্মৃতি। বাঙালির এককালের গ্ল্যামার কুইন প্রজন্মের পর প্রজন্মকে এভাবেই অধিকার করে রেখেছেন। তিনি চলে গিয়েছেন ১৯৯২ সালে। এবার তাঁর স্মৃতিগুলিও একে একে চলে যেতে বসেছে।
সূর্যনগরের বাড়িটি ভেঙে পড়ার অপেক্ষায় দিন গুনছে। প্রোমোটাররা গ্রাস করে নিয়েছে সে গোল বারান্দা। কাননদেবীর শোয়ার ঘর। তাঁর টেবিল-খাট-দেরাজ-চেয়ার সবকিছু। এমনকী প্রার্থনার সেই মন্দিরটিও। বাড়িটি ভেঙে গেলেই স্রেফ উবে যাবে এই কিংবদন্তী শিল্পীর যাবতীয় স্মৃতি।
রবীন্দ্রনাথের গানকে চলতি করে তুলেছিলেন কাননদেবীই। রবীন্দ্রনাথের জোড়াসাঁকোর বাড়ি সংস্কারের জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছিলেন তিনি, এমনটাও শোনা যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য, কাননদেবীর নিজের বাড়িটিই এবার ভাঙা পড়বে।
ইতিমধ্যেই গঙ্গাপাড়ের সেই প্রাসাদোপম বাড়িটির ছাদে হাতুড়ির ঘা শুরু হয়েছে। কাননদেবীর মৃত্যুর পর বাড়ি বিক্রি করে দেয় তাঁর পরিবার। ফ্ল্যাট হবে বলে শোনা যাচ্ছে। বেশ কয়েক বছর আগেই ভাঙা হয়েছে বাঁশদ্রোণীতে ছবি বিশ্বাসের বাড়িও।
বাড়ির ভিতর একটা মন্দির ছিল। মূল বাড়ির সামনে কাননদেবী আরও একটি বাড়ি করেছিলেন। সেখানে নকশাল সময়ে পুলিস ক্যাম্প হয়েছিল। বাড়িতে যামিনী রায়ের বহু ছবি ছিল।