scorecardresearch
 

পুজোমণ্ডপ এখন সেফ হোম! পথ দেখাল কলকাতার গল্ফ ক্লাব রোড

এরই মাঝে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এল কলকাতার একটি পুজো কমিটি। নিজেদের পুজো মণ্ডপকে বানিয়ে ফেলেছে সেফ হোমে। কলকাতার কোনও পুজো কমিটি তরফ থেকে এমন উদ্যোগ এই প্রথম। দাবি করেছে ওই পুজো কমিটি।

Advertisement
নিজেদের পুজোমণ্ডপকে সেফ হোম বানিয়ে তুলেছেন। গল্ফ ক্লাব রোড দুর্গাপুজোর কর্তারা নিজেদের পুজোমণ্ডপকে সেফ হোম বানিয়ে তুলেছেন। গল্ফ ক্লাব রোড দুর্গাপুজোর কর্তারা
হাইলাইটস
  • সাহায্যের জন্য এগিয়ে এল কলকাতার একটি পুজো কমিটি
  • নিজেদের পুজো মণ্ডপকে বানিয়ে ফেলেছে সেফ হোমে
  • মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিন কয়েক আগে নবান্নে কলকাতার পুজো কমিটির আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠক করেন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কে দেশ। একই অবস্থা কলকাতা, বাংলার। এই ভাইরাসে বেড়ে চলা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে উদ্বেগ। কী করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, তা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন থেকে শুরু করে বিজ্ঞানীরা।

এরই মাঝে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এল কলকাতার একটি পুজো কমিটি। নিজেদের পুজো মণ্ডপকে বানিয়ে ফেলেছে সেফ হোমে। কলকাতার কোনও পুজো কমিটি তরফ থেকে এমন উদ্যোগ এই প্রথম। দাবি করেছে ওই পুজো কমিটি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিন কয়েক আগে নবান্নে কলকাতার পুজো কমিটির আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি তাঁদের সাহায্য চান। করোনা মোকাবিলায় তাঁরা যাতে আরও উদ্যোগ নেন, সেই আবেদন করেছেন তিনি। পুজো কর্তারা সকলেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

এরই মাঝে দক্ষিণ কলকাতার পুজো কমিটি নিজেদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। ওই ক্লাব হল আটলান্টা ক্লাব। আর তাদের উদ্যোগে হয় গল্ফ ক্লাব রোড দুর্গাপুজো। মূলত কলকাতা পুরসভার ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের করোনা আক্রান্ত মানুষদের চিকিৎসার জন্য ওই সেফ হোম খোলা হয়েছে। সেখানে ভেন্টিলেটর ছাড়া সব ব্যবস্থা রয়েছে।

মঙ্গলবার আটলান্টা ক্লাবের সম্পাদক, গল্ফ ক্লাব রোড দুর্গাপুজো কমিটিসহ-সম্পাদক কুশল চট্টোপাধ্যায় জানান, এখন সেখানে ৯ জনের চিকিৎসা চলছে। কলকাতার প্রথম কোনও পুজো কমিটি নিজেদের পুজোমণ্ডপকে সেফ হোমে রূপান্তরিত করেছে। এমনই দাবি করেছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, টালিগঞ্জ এলাকার কোভিড রোগীদের কাছে খাবার দিচ্ছেন তাঁরা। চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে এই সেফ হোম। তার আগে ৭-৮ দিন লেগে গিয়েছিল সেটি তেরি করতে।

২০২০ সালে এমন উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। তবে স্থানীয় মানুষের একাংশ আপত্তি জানান। এ ব্য়াপারে তিনি জানান, যাঁরা আপত্তি জানিয়েছিলেন, এবার তাঁরাই এগিয়ে এসেছেন।

Advertisement

তাঁদের দুর্গাপুজোর দালান স্থায়ী। তাকে ঘিরে গড়েই তোলা হয়েছে সেফ হোম। সেখানে শয্যা আরও সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। ১৮টি অক্সিজেন সিলিন্ডার 

২০২০ সালে দুর্গাপূজা দুর্গাপুজোর সময় এক অন্য ছবি দেখেছিল কলকাতা। কারণ করোনাভাইরাস। কলকাতার দুর্গা পুজো মানেই মানুষের ভিড়। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দাপিয়ে বেড়ান পুজোপ্রেমীরা। যেন বিরামহীন ভাবে তাঁরা ঘুরে বেড়ান।

তবে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কলকাতার দুর্গাপুজোয় আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। কলকাতার দুর্গাপুজো মণ্ডপগুলো কার্যত হয়ে ওঠে নো এন্ট্রি জোন। মানুষজনের ভিড় যাতে না হয়, তাই বিধিনিষেধ জারি করেছিল আদালত।

তবে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মতো কয়েকটি পুজো কমিটি ঘোষণা করে দিয়েছিল, তাদের মণ্ডপে সেবার কোনও দর্শক ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। আদালতের হস্তক্ষেপের আগেই। তাদের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছিল অনেকে।

 

Advertisement